মেদিনীপুরের ঊরুষ উৎসবে যোগ দিল বাংলাদেশের তীর্থযাত্রীরা, শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

সেখ মহম্মদ ইমরান, মেদিনীপুর : করোনা পর্ব কাটিয়ে মেদিনীপুরের ঊরুষ উৎসবে যোগ দিল বাংলাদেশের তীর্থযাত্রীরা। মেদিনীপুরের ঊরুষ উৎসবকে কেন্দ্র করে দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার হলো। শুভেচ্ছা জানালেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে মহান সুফি সাধক হজরত সৈয়দ শাহ মুরশেদ আলী আলকাদেরী আলবাগদাদি মওলা পাক এর ১২২ তম বার্ষিক ঊরুষ উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশের রাজবাড়ী থেকে একটি স্পেশাল ট্রেনে করে ২৪টি বগিতে মোট ২১৬৫ জন তীর্থযাত্রী বৃহস্পতিবার ভোরে মেদিনীপুরে পৌছায়। তাকে স্বাগত জানাই মেদিনীপুরের পৌরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান , বিধায়ক দিনেন রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নেতৃত্ববৃন্দ। মেদিনীপুরের কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের মাঠ থেকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রশাসনিক সভা থেকে বাংলাদেশের তীর্থযাত্রীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন এই উৎসব দুই বাংলার সম্প্রীতির উৎসব ।

    তীর্থযাত্রীদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য তিনি প্রশাসনকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন।জানা যায়, হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শেদ আলি আলকাদেরি আলবাগদাদি (মওলা পাক) সুফি সাধনার প্রসারে এই মহান তাপসের প্রপিতামহ ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের বাগদাদ থেকে ওড়িশার চাঁদবালি বন্দর হয়ে ভারতে আসেন।মওলাপাক এর প্রপৌত্র বড় হুজুর পাক হযরত সৈয়দ শাহ রশিদ আলী আল কাদেরী আল বাগদাদি পাকের বর্তমান স্থলাভিষিক্ত সাজ্জাদানশীন, মেদিনীপুর জোড়া মসজিদ ও মাজার পাকের মোতাওয়াল্লী, রাসূলে পাকের ৩৬ তম এবং হুজুর গওস পাকের ২৩ তম বংশধর গওসে যামা হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসুব আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী পাকের পরিচালনায় ও তত্ত্বাবধানে এই উরস উৎসব পাক উপলক্ষে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গণ ও দায়রাপাকে যথাযথভাবে গম্ভীর পরিবেশে ধর্মীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই উরস উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হন এবং জোড়া মসজিদ অবস্থিত মওলাপাকের সমাধিস্থলে প্রার্থনা করেন। ঊরুষে আসা তীর্থযাত্রীরা জানায়, এখানে প্রার্থনা করে তাদের বিভিন্ন মনস্কামনা পূরণ হয়।

    তাই প্রতিবছর এইসময় এখানে আসেন তারা।উরস উপলক্ষে ১৯০২ সাল থেকে বাংলাদেশের বিশেষ ট্রেন আসা শুরু হয়েছে মেদিনীপুরে। উরস যাত্রীদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের উদ্যোগেই এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। জানা গেছে, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে যুদ্ধের কারণে এবং ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনার কারণে বাংলাদেশের পূর্ণরূপীরা মেদিনীপুরে জোড়া মসজিদের মৌলাপাকের ঊরুষ উৎসবে যোগ দিতে পারেনি.