দেখতে কালো, অতিরিক্ত পণের দাবি, পণ না দিতে পাড়ায় গৃহবধূকে খুন করে পুকুরে ফেলে দিলো শ্বশুরবাড়ির লোকজন

 

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : গায়ের রং কালো, সেই অপরাধে অতিরিক্ত পণের দাবি জানিয়ে গৃহবধূর উপর শারীরিক অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ওই দম্পতির একটি দুবছরের পুত্রসন্তানও আছে। সন্তান জন্মের পরও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পায়নি সেই গৃহবধূ । এমনকি তাদের দু’বছরের ছেলের সামনেও ওই গৃহবধূর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হত বলে অভিযোগ এতেই শেষ নয়, রীতিমতো শ্বাসরোধ করে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হল বধূর মৃতদেহ। বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাট থানার কোদালিয়া গ্রামের ঘটনা।

    শনিবার, ৩রা অক্টোবর, কোদালিয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় বছর কুড়ির গৃহবধূ সালমা খাতুনের মৃতদেহ। পণের দাবিতে ওই গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান ওই মহিলার আত্মীয়স্বজনেরা। গৃহবধূর স্বামী আব্দুল সাইদ শেখ, শ্বশুর আব্দুল করিম শেখ এবং শাশুড়ি নাসিমা বিবি এই তিনজনের দিকেই উঠেছে অভিযোগের আঙুল। তদন্তে নেমেছেন স্থানীয় থানার পুলিশ অফিসারেরা।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২রা অক্টোবর শুক্রবার রাত্রে ঘুমন্ত অবস্থায় সালমা খাতুনকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো ওই গৃহবধূ ঘুমিয়ে পড়লে তার হাত পা চেপে ধরে শ্বশুর-শাশুড়ি। তারপর স্বামী আব্দুল শহীদ শেখ শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই গৃহবধূকে। রাতের অন্ধকারেই মেয়েটির মৃতদেহ বাড়ির কাছের এক পচা পুকুরের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়।