এবছর দুর্গা পুজোর কার্নিভাল হবে ১১ই অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন দুর্গাপুজো নিয়ে পুজো আয়োজক কমিটি ও পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আজ নেতাজী ইনডোরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের দুর্গাপুজো কমিটিগুলির জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ও ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগের বার মহরম আর পুজো একসাথে পড়েছিল, আমরা দুটোই শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছি, কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা হয়নি, এটা বাংলার মানুষের কৃতিত্ব। দুই সম্প্রদায়ের মানুষের থেকেই সবরকম সহযোগিতা পেয়েছি অন্য কোন রাজ্যে গণপতির বিসর্জন আর অন্য কোন উৎসব একসাথে পালন করা হয়? বাংলা সব ধর্ম সব জাতিকে নিয়ে মিলেমিশে থাকে আর এক্ষেত্রে বাংলা সকলের চেয়ে এগিয়ে
    কোটি কোটি মানুষ আসে বাংলার দুর্গা পুজো দেখতে। বাইরের রাজ্য থেকে অনেক লোক আসে, তাই আমরা আগে থেকে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করি। শুধু পুলিশের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়, ক্লাব ও পুজো কমিটির লোকেরাও আমাদের সাহায্য করে সারা বাংলায় ২৮ হাজার পুজো হয়, পাশাপাশি বাড়ির পুজোও হয়। আর কেউ কেউ বলে বেড়াচ্ছে মমতা নাকি দূর্গা পুজো করতে দেয় না, আমার শুনে দুঃখ হয়। আজ মমতার চেয়ার আছে আগে তো ছিল না
    বাংলায় পুজো আজ থেকে নয়, চিরকাল ধরে হচ্ছে। আর এখন সংখ্যায় বাড়ছে। আমরা পুজো কার্নিভাল শুরু করেছি। এবছর দুর্গা পুজোর কার্নিভাল হবে ১১ই অক্টোবর।

    তিনি পরামর্শ দেন, পর্যাপ্ত পরিমানে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখবেন
    দমকল যাতে ঢুকতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখবেন পুলিশদের বলবো লোকাল ছেলে মেয়েদের সাথে সহযোগিতা করবেন
    ভিড়ে দৌড়বেন না, চিৎকার করবেন না, তাড়াহুড়ো নয় সব আস্তে ধীরে করুন
    পুলিশের ওয়াকিটকির সাথে ক্লাবের যোগাযোগ থাকবে যাতে সবাই মিলে ভিড় সামাল দিতে পারে ভি আই পি গেট তুলে দিন, সবাই এল আই পি (লেস ইম্পরট্যান্ট পারসন)। সবাই লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখবে। নো ভিআইপি অল এলআইপি। শুধুমাত্র বয়স্ক ও হ্যান্ডিক্যাপডদের জন্য আলাদা লাইন থাকবে আমি কাউকে পদবী জিজ্ঞেস করি না, কারণ, আমার মধ্যে এই প্রবণতা নেই, সবাই মিলেমিশে সব কাজ করবে।

    আলোচনার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত করা হয়, সিইএসসি ও পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদ সব ক্লাবকে ২৫% ছাড় দেবে দমকলের জন্য কোনও চার্জ দিতে হয় না, জল ফ্রি দেওয়া হয়, বিজ্ঞাপনের চার্জ দিতে হবে না
    এবার পুজোর জন্য ছোট বড় সব ক্লাবকে ২৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। হেরিটেজ, জাতীয় উৎসব পর্যটন, সংস্কৃতি ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এগুলোকে প্রমোট করার জন্য আমরা পুজো কমিটিগুলিকে এই সাহায্য করবো।
    পাশাপাশি মহিলারা যারা পুজো করবে তাদের ৫০০০ টাকা দিয়ে পুলিশ আলাদা সাহায্য করবে সব বড় ক্লাবগুলো ১০ টা ছোট ক্লাবকে সাহায্য করবে কাউকে বাংলার বদনাম করতে দেব না। বাংলার পুজো নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া যাবেনা।