|
---|
“সাইফুদ্দিন মল্লিক : আইপিএস অফিসার, পুলিশের উচ্চ পদ সামলেছেন বেশ কয়েক বছর , আজ তার মুখ থেকে মস্তান ও গুন্ডার কথা বাহির হচ্ছে। চাকরি ছেড়ে বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন এবং ঘাটাল কেন্দ্রের পার্থী। প্রাপ্তন আমলার মুখে সন্ত্রাসীর মতো কথাবার্তা এবং হুমকি কল্পনার বাইরে ছিল। তবে বিজেপি পাটির নেতা মন্ত্রীরা অহরহ গুন্ডা মস্তান ও সন্ত্রাসীর উক্তি করেই থাকে! সেই অর্থে রাজনৈতক ভাবে ভারতী ঘোষের কথাতে অবাক হওয়ার কিছু নাই। বাংলাতে বিজেপি পাটি সন্ত্রাসের রাজনীতি করছে তা আবারও প্রমান হলো।
শনিবার কেশপুরের আনন্দপুরে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন ভারতী ঘোষ। সেখানেই দুই তৃণমূল কর্মীকে সামনে পেয়ে, তৃনমূল কর্মীদের উদেশ্য করে তিনি বলেন, ‘করে খাচ্ছে আবার ভয় দেখাচ্ছে ভোট করতে দেবে দেবে না। ভয় দেখাস না! টেনে টেনে বাড়ি থেকে বের করে কুকুরের মতো মারব।’ এখানেই থামনেনি তিনি। এরপর হুমকি দিতে গিয়ে ভারতী বলেন, ‘এক বছর ধরে খুঁজে খুঁজে মারব। উত্তরপ্রদেশ থেকে এক হাজার ছেলে ঢোকাব। খুঁজে পাওয়া যাবে না তোদের। চল ফোট। বাড়ি যা। তালা মার।
ঘাটালে পদযাত্রা করার সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে ভারতী ঘোষের এই হুমকির কথা পৌঁছে যায়। মমতা ভারতীর এই আচরণের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাল্টা বলেছেন, ‘অনেক কেস রয়েছে আপনার বিরুদ্ধে। আমরা ভদ্রতা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করিনি। আমাদের ভয় দেখাবেন না। গ্রামসভায় যাঁর প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নেই সে আবার লোকসভায় প্রার্থী হয়েছে।’ রাজনৈতিক সৌজন্যের গণ্ডি পেরোলে ফল ভাল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। ভারতীর এই হুমকি দেওয়ার কথা জানার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি অভিযোগ করেছেন, ভারতী ঘোষ এখন প্রাক্তন পোশাকের ব্যবহার করছেন। যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই নিয়ে নালিশ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকী ভারতীর প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন জানাবেন তাঁরা।ভারতী ঘোষের হুমকির প্রেক্ষিতে জেলা শাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।