পড়াশোনা চালাতে হাসপাতালের গেটে ছাতুর সরবত বিক্রি কলেজ পড়ুয়ায়

আজিজুর রহমান,বর্ধমান : নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ নং গেটে ছাতুর সরবত বিক্রি করেন কলেজ পড়ুয়া সুশোভন দত্ত। সে বাহির সর্বমঙ্গলা এলাকার বাথান পাড়া নজরুল পল্লীর বাসিন্দা। ছোট থেকে পড়াশোনা করার প্রবল ইচ্ছা। তবে বাড়িতে অভাব তাই তাকে নিজে উপার্জন করেই পড়াশোনা চালাতে হয়। নিত্যদিন সকালে স্নান সেরে ভ্যান নিয়ে বর্ধমান হাসপাতালের গেটে চলে আসে সুশোভন। এরপর বেলা বারোটা প্রযন্ত সেখানে ছাতু বিক্রি করে। এরপর সেখানে ভ্যান রেখে পাশেই রাজ কলেজে ক্লাস করতে চলে যায় সে। বিকালে কলেজের পড়াশোনা শেষ করে ভ্যান নিয়ে বাড়ি যায়। এমনই নিত্য রুটিন কলেজ পড়ুয়ার সুশোভনের। সে জানিয়েছে, রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করছে সে। বাড়িতে মা ও দাদা থাকলে কেউ তাকে পড়াশোনায় সাহায্যের করেন না। বাধ্য হয়েই তাকে হাসপাতালের গেটে ফুটপাতে ছাতুর সরবত বিক্রি করতে হয়। এই কাজে করতে তাকে লজ্জা লাগে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য সুশোভন জানাই, কাজ করছি এতে লজ্জা কি। তাছাড়া এটা না করলে তার স্বপ্ন পুরন হবে না। তাছাড়া নিজের পড়াশোনার খরচ কিভাবে পাবে সে? অর্থের সংকটের জন্য টিউশন ছাড়াই পড়াশোনা চালাতে হচ্ছে তাকে। জানাগেছে, প্রতিদিন কুড়ি টাকা ভাড়া দিয়ে সুশোভন একটি ভ্যান নিয়ে হাসপাতালের গেটে আসে। সেখানে নিত্য ৫ থেকে ৬ শত টাকার বেচাকেনা হয়। তাকে ২ -৩ শো টাকা লাভ হয়। তবে মাঝে মধ্যে পড়াশোনার জন্য দোকান বন্ধ রাখতে হয় তাকে। বাংলায় অনার্স তাই পড়াশোনা শেষে অধ্যাপক হতে চাই সুশোভন। কলেজ পড়ুয়ার এমন কাজের প্রশংসা করেছেন হাসপাতালে গেটের ব্যবসায়ীরা।