|
---|
উজির আলী,চাঁচলঃ ২৪ সেপ্টেম্বর
স্কুল জীবন থেকে রাজনীতির দুনিয়ায় মগ্ন। স্কুল জীবনে এলাকায় কোনো রাজনৈতিক দলের মিছিল হলেই স্থান নিত। তারপর কলেজ।
সালটা সম্ভাব্য ১৯৭০। চাঁচল কলেজে ভর্তি হতেই ওই কলেজে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা।
ছাত্রপরিষদের সদস্য হয়ে ঝোঁক দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও পরে শিক্ষকতার পেশায় কিছুটা ম্লান হয়ে পড়ে।
তবুও জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে লড়তেন।
২০১১ সালে বামফ্রন্টকে পরাজয় করে রাজ্যে যখন ঘাসফুল ফোটে ঠিক একবছর পরেই তৎকালীন মালদা জেলা তৃণমূল কমিটির সভাপতি সাবিত্রী মিত্রের হাত ধরে তৃণমূল পরিবারে সামিল হন।সেই কাল থেকে দীর্ঘ আট বছর ধরে এলাকায় রাজনীতির মুখ আরো প্রকাশ্যে আসে।
লোকটা মালদহের চাঁচল শহরের ট্যান্ডেল পাড়ার বাসিন্দা শচ্চীনানন্দ চক্রবর্তী।দলের কর্মীদের কাছে ডিটু-কাকু নামেই পরিচিত।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক দুমাস পূর্বে চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কমিটির সভাপতি পদ দিয়ে এলাকার পুরো দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয় জেলা তৃণমূলের তরফে। তবে পঞ্চায়েত এলাকা গুলোতে ভালো ফলও হয়েছে বলে দাবী করেছেন তিনি। যা বর্তমানে ব্লক এলাকার আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয়টি পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে।
বিগত লোকসভাতেও পঞ্চায়েত এলাকাগুলিত ভালো ফল এসেছে বলে দাবী করে বলেছেন শচ্চীনানন্দ।
বৃহস্পতিবার দলের তরফে ফের চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কমিটির সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে শচ্চীনানন্দ বাবুকেই। ৬৯ বছর বয়সের ওই প্রবীন যোদ্ধাকেই বেছে নিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।
এতে অনীহা প্রকাশ করেননি অঞ্চল কমিটি থেকে শুরু করে বুথ স্তরের কর্মীরা।
তবে যারা গোষ্ঠী তৈরী করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আসন্ন বিধানসভা এগিয়ে। নড়বড়ে রয়েছে কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকা। বিধানসভায় একক ভাবে জয়ী হতে সবাইকে একজোট হয়ে বিরোধীদের সাথে লড়তে হবে। রাজ্য সুপ্রিমোর আদর্শে সবাইকে দলের হয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে কাজ করতে হবে।
তাদের সাদরে গ্রহন করবেন নবনিযুক্ত নয়া ব্লক তৃণমূল কমিটি সভাপতি শচ্চীদানন্দ চক্রবর্তী বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও এলাকার বুথে বুথে কর্মীদের সজাগ-সক্রিয় করতে এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ব্লকের তৃণমূল কমিটির তালিকা প্রকাশ হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মীদের খুশির জোয়ার বয়েছে । কারন ৬৯- এর প্রবীন শচ্চীনানন্দ চক্রবর্তী ফের সভাপতিত্বে।