নদিয়ার শান্তিপুরে অশান্তিতে আট মাসের গর্ভবতী মা , অভিযোগ পণের জন্য বেদম প্রহার করছেন স্বামী সাহেব


মিজানুল কবির,শান্তিপুর ,নদীয়াঃ নদিয়ার শান্তিপুরে অশান্তিতে আট মাসের গর্ভবতী মা , অভিযোগ পণের জন্য বেদম প্রহার করছেন স্বামী সাহেব সেখ । ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত গোবিন্দপুর পশ্চিম দাস পাড়া গ্রামে।
খাদিজা খাতুন প্রত্যেক নারীর মত দেখেছিলেন স্বপ্ন ঘর সংসার করবেন। ভেবেছিলেন সুখে শান্তিতে দিন কাটাবেন শ্বশুর বাড়িতে। হলই বা কই সুখ শান্তি তোহ দুরের কথা পেটে আট মাসের সন্তান নিয়ে লাঞ্চনা,বঞ্চনা ,মানসিক অত্যাচার অবধি মুখ বুজে সহ্য করেছেন বিগত কয়েকমাসে। লাগাতার শারিরিক অত্যাচারও সহ্য করেছেন পেটের সন্তানের দিক দেখে। চার তারিখ অর্থাৎ ঈদের আগের দিন শুরু হয় পণ অতিরিক্ত পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য অত্যাচার। গালিগালাজ থেকে শেষ অবধি গলা টিপে ধরে চোখে  ঘুষি মারা শুরু হয় । স্বামীর কাছে মার খেতে থাকলেও বাড়ির অন্য কেউ বাঁচাতে আসেননি বলে জানা গেছে। প্রায় চার ঘন্টা যাবত বেহুঁশ হয়ে মাটিতে পড়ে থাকার পর জ্ঞান ফিরলে আবার অত্যাচার করে। একদিন পরে হাসপাতালে যায় এবং সেইখানে ডাক্তার চিকিৎসা করার পর যথাক্রমে প্রসূতি এবং চক্ষু বিশেশজ্ঞের কাছে রেফার করে দেন । অসহায় অবস্থায় শান্তিপুর থানায় অভিযুক্ত নিজ স্বামী পেশায় তাঁত শাড়ির কাজকারী সাহেব শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলেও প্রশাসনের তরফে কোন সদুত্তর মেলেনি । অসহায় অবস্থায় মায়ের বাড়ি ফিরে যেতে হয় তাকে। তিনি জানান ” সোনা দানা ,গয়না , আসসাবপত্র লাল রঙের গ্লামার মোটর সাইকেলও বিয়েতে যৌতুক হিসেবে দিলেও মাঝেমাঝে আবারও টাকার জন্য মারধর হত”।  “শাস্তি চাই আগে , বারবার কেনো মারবে ওরা,আগে শাস্তি চাই তারপর ভাবব সংসারের কথা ,আগে নিজের জীবন বাঁচায় তারপর অন্য কিছু ভাবব ” বলে জানান খাদিজা খাতুন। প্রশ্ন একটাই থেকেই যায় এভাবে কতদিন খাদিজার মত হাজারো মেয়েদের নিজের স্বামীর কাছে অত্যাচারিত হতে হবে ? কে আসবে মাসিহা হয়ে ? কে করবে ন্যায্য বিচার ? প্রশাসনের পদক্ষেপের তিকে তাকিয়ে বাপের বাড়িতে কাটছে দিন খাদিজার ।