ডিওয়এফআই কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদ স্বরূপ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে

নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক : নবান্ন অভিযানে ডিওয়াইএফআই এর কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদে সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেমেছে সিপিএম, ডিওয়াইএফআই ও তাদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এইদিন হরিশচন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফেরদৌস, ডিওয়াইএফআই নেতা মোহাম্মদ হারেজ, প্রণব কুমার দাস, অনুপ আচার্য প্রমুখরা।

     

    প্রসঙ্গত গত ১১ ই ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র যুবদের ডাকে কর্মসংস্থানের দাবিতে নবান্ন অভিযান করেন ডিওয়াইএফআই এসএফআই সহ বাম ছাত্র যুব সংগঠন। কর্মসংস্থান, শিল্পকেন্দ্র ও অন্যান্য দাবি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কথা বলতে গেছিল ছাত্র-যুবরা। মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া নিয়ে বাম ছাত্র-যুব দের মিছিলে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে কলকাতা পুলিশ। তারপর পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন যুবনেতা মইদুল ইসলাম। চিকিৎসাধীন থাকার পরে গতকাল হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। মইদুল ইসলাম এর মৃত্যুর প্রতিবাদে এরপরই রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও এর ডাক দেয় বাম ছাত্র যুব সংগঠন।

     

    এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ডিওয়াইএফআই এর নেতা মোহাম্মদ হারেজ জানান, “বিগত ১০ বছর ধরে কর্মসংস্থান হীন দুর্নীতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ গড়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৃণমূল। আমরা এর প্রতিবাদেগত ১১ই ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযান চালায়। সেখানে পুলিশের লাঠির আঘাতে আমাদের কর্মী যুব নেতা মহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। গতকাল তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা পুলিশের এই অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাই। মহিদুল পেশায় অটোচালক ছিল। তার একার আয়ে সংসার চলত। মহিদুল এর মৃত্যুতে তার পরিবার পথে বসেছে।. আজ আমরা প্রতিবাদে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা সহ গোটা রাজ্যের থানা ঘেরাও করছি।”

     

    এদিন বাম ছাত্র-যুবদের থানা ঘেরাও অভিযান রুখতে সবরকম ভাবে প্রস্তুত ছিল পুলিশ। বিক্ষোভের আভাষ পেতেই থানার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ছাত্র-যুবরা রাস্তায় নেমে এলে তাদের রাস্তা থেকেই হটিয়ে দেয় পুলিশ।