শান্তিপুরের ঐতিহ্য মন্ডিত গণেশ জননী পুজোর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করলেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য

শরিফুল ইসলাম, শান্তিপুর, নতুন গতি:

    “পুজো মানে খুশি, পুজো আনন্দ ,পুজো সম্প্রীতি পুজো সৌহার্দ্য। শান্তিপুর মেলার শহর, শান্তিপুর উৎসব ঐতিহ্যের শহর। শান্তিপুরের শান্তিপ্রিয় মানুষ পুজো-মেলা ও উৎসব গুলিকে সামনে রেখে হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হন।

     

    আমি এমন একটা অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পেরে আপ্লুত অভিভূত।”
    শান্তিপুর কাঁসারী পাড়ায় গণেশ জননী প্রতিমার শুভ উদ্বোধন করে সংক্ষিপ্ত ভাষণে একথা বলেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য।শান্তিপুর আক্ষরিক অর্থেই উৎসব ও মেলার শহর। অজস্র মন্দির-মসজিদ প্রাচীন এই শহরের ধর্মীয় ও সাংকৃতিক ঐতিহ্য বহন করে।

    শান্তিপুরে গণেশ জননী পুজোর ইতিহাস প্রায় দুশো বছরের প্রাচীন। কংসবণিক সম্প্রদায় গণেশ জননী পুজোর সূচনা করে কাঁসারী পাড়ায়। সেই থেকে প্রতিবৎসর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে গণেশ জননী কাঁসারী পাড়ায় পূজিত হয়ে আসছেন। প্রথমে পুজো আয়োজক সম্রদায়ের তত্ববোধনে উদযাপিত হতো । পরবর্তী কালে গণেশ জননী সার্বজনীন মাত্রা পান। পুজো চলে পাঁচ দিন।

    এই ক’দিন পুজো উপলক্ষ্যে শান্তিপুরের আপামর মানুষের আনাগোনা উৎসাহ উদ্দীপনা থাকে চোখে পড়ার মতন।এবছর গণেশ জননী পুজো ১৯০ বছরে পদার্পন করলো, জানালেন বর্তমান পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য সনৎ চক্রবর্তী। পুজো উপলক্ষ্যে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের প্রখ্যাত শিল্পী অনুরাধা রায়।