রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বাঁচতে পারে অন্যের প্রাণ, যদি করো রক্তদান,

    আজ রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী।

    রবীন্দ্রনাথ যেমন বাঙালির রক্তে, তেমন রক্তদানেও ছিলেন৷প্রতি বছরই এই গরমের মরসুমেও ২৫ বৈশাখ প্রচুর রক্তদান শিবির আয়োজিত হত রাজ্যজুড়ে৷ কিন্ত্ত করোনা মহামারির জন‍্য এ বছরের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে শুধু রক্তদান শিবিরই কমে যায়নি, শিবিরপ্রতি দাতাও কম৷

    কবিগুরুর জন্মদিবসকে স্মরণ করে এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি 1 নং ব্লক জয়হিন্দ বাহিনীর উদ‍্যোগে বাগিলা অঞ্চলের বাগিলা গ্রামে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা পুরুষ মিলে 50 জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। এর মধ‍্যে অনেকেই জীবনে প্রথম রক্তদান করে সমাজের যুব সমাজ কে রক্তদানে এগিয়ে আসার বার্তা দেন।

    আজকের এই রক্তদান শিবির এর উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ ব্যানার্জি, মেমারি 1নং ব্লক জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি প্রলয় পাল, sc ও obc সেলের জেলার সহ সভাপতি সমীরন মজুমদার, বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরিন্দম ঘোষাল, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মীর পারভেজ, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হরে কৃষ্ণ বৈরাগ্য, শিক্ষক নেতা মৃন্ময় ঘোষ সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

    প্রথমেই নিত্যানন্দ ব্যানার্জি কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন এবং নিজে রক্ত দান করে যুব সমাজকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
    প্রলয় পাল জানান যে গত বছরও করোনার সময় তারা রক্তদান শিবির আয়োজন করেছিল এবং সাধারণ মানুষের পাশে ছিল।এ বছরও তারা রক্তদান শিবির আয়োজন করেছে এবং করোনার অতীমারিতে সাধারণ মানুষের পাশে তারা সবসময়ের জন্যই থাকবে।

    সবশেষে একটা কথা বলতেই হয়……
    সময় তুমি হার মেনেছো রক্তদানের কাছে,
    কয়েকটা মিনিট দাঁড়িয়ে গেলে
    *একটি জীবন বাঁচে।

    অতনু ঘোষের রিপোর্ট, মেমারি।