|
---|
মহঃ মফিজুর রহমান, আমডাঙা, নতুন গতি : ‛এক বৃন্তে দুটি ফুল, রবীন্দ্র নজরুল’। নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি তথা হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শেখ কামাল উদ্দীন দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে একসঙ্গে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে গিয়ে একথা জানান, বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে দুই বাংলায় যে সমস্ত বিভ্রান্তি রয়েছে সেগুলিকে দূর করা প্রয়োজন। আজ বিকেল তিনটে পাঁচ মিনিট থেকে ‛আমডাঙ্গা আদর্শ টিচার্স ট্রেনিং কলেজে’ দুই বাংলার শিল্পীসমন্বয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয় ।
বাংলাদেশের ’পুনশ্চ’ এবং পশ্চিমবঙ্গের ‛নজরুল চর্চা কেন্দ্রের’ আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ‛আমডাঙ্গা আদর্শ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের’ ছাত্র-ছাত্রীরা। নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক শাহজাহান মন্ডল আগামী দুহাজার চব্বিশ সালে কাজী নজরুল ইসলামের একশো পঁচিশতম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের পরিকল্পনার কথা জানান।
বাংলাদেশের যশোর জেলার ‛পুনশ্চ’ সংগঠনের সম্পাদক পান্নালাল দে, এপার বাংলায় রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী একসঙ্গে পালিত হচ্ছে দেখে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‛বর্তমান বিশ্বে দুই কবির আদর্শ ও বাণীকে ছড়িয়ে দিতে হবে। উন্মত্ত পৃথিবীতে শান্তি আনার ক্ষেত্রে দুজন কবির ভূমিকা অপরিসীম বলে তিনি মন্তব্য করেন। নজরুল চর্চা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ‛পুনশ্চ’-র সম্পাদককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন স্নেহা সরকার, প্রিয়াঙ্কা সরকার, ঈশিকা পাল, শান্তা দাস ও শ্রীকান্ত দত্ত। কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করেন বজলুর রহমান, ইমদাদুল হক, ‛শিকড়ের সন্ধানে’ আহ্বায়ক মণিমোহন ধর। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুনন্দ নন্দ বেরা, দেবাশীষ কুন্ডু, রেজাউল হক, শিক্ষাকর্মী কৌশিক বাগ, সুপ্রকাশ দাস, অর্পিতা পাল, ইব্রাহিম মণ্ডল, অনুপ বিশ্বাস ও মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।