রাজ্য সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির প্রতিবাদে জেল ভরো আন্দোলন।

সংবাদদাতাঃ ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারদের সুপারভাইজার এর বিভিন্ন দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন চলছে রাজ্য সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আজও কার্যকরী করা হয়নি। বর্তমানে সুপারভাইজারদের আন্দোলনের অনুমতি টুকুও দেওয়া হচ্ছে না। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯এম জি এন আর ই জি এ সুপারভাইজার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মৌলালির রামলীলা পার্কে জমায়েত হয় ওখান থেকে মিছিল সহকারে ধর্মতলার রানী রাসমণি এভিনিউ সভা করে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেয়ার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু কলকাতা পুলিশ এই সভার অনুমতি দেয়নি তাদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী ডেপুটেশন গ্রহণ করতে পারবেন না প্রতিবারের ন্যায় এবারও তার সচিব কে এই স্মারকলিপি দিতে হবে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে স্মারকলিপি দিয়েও কোনো কাজ না হওয়ায় এবার আইন অমান্য আন্দোলন করা হলো।

    বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীরা সকালেই রামলীলা পার্কে পৌঁছায়। প্রায় ১০ হাজার কর্মী মিছিল সহকারে রানী রাসমণি এভিনিউ তে আসতে চায়। কিন্তু পুলিশ রামলীলা পার্ক সংলগ্ন সিআইডি রোড এর দুই দিকে ব্যারিকেড তৈরি করে দেয় এবং ওখান থেকে ২৫২ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে। বাকিদের রামলীলায় নাম লিখে নেয় এবং ওখান থেকেই চলে যেতে বাধ্য করে।১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার ১২ মাস কাজ করেন কিন্তু মজুরি পান মাত্র ১০০দিনের। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে একাধিকবার স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতে ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে সুপারভাইজারদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে বাদ দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক দলের অনুগত কর্মীদের সেই জায়গায় কাজ দেওয়া হচ্ছে অথচ সরকারি নিয়ম আছে যারা এই কাজটি করছেন তারা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজটি করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একাধিক প্রশাসনিক মিটিং এ বলেছেন সুপারভাইজারদের কাছ থেকে বাদ দেওয়া যাবে না অথচ এরা যে কে কার কথা শোনে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় পাত্তা না দিয়ে শাসক দলেরই বিভিন্ন পঞ্চায়েত প্রধান সুপারভাইজারদের
    বাদ দিয়ে দিচ্ছেন।