|
---|
জাকির হোসেন সেখ ,শিরাকোল :
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতিমধ্যেই প্রায় চার হাজার ইভিএম ও ভিভিপ্যাট ভোটার মেশিন বাতিল করেছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর।
২০১৯ এর আসন্ন লোকসভা ভোটে ব্যবহার করার জন্য ওই ভোটার মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল।
২০১৮ সালের গত ৭ই অক্টোবর থেকে টানা তিন মাস ধরে দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যন্ত্রগুলিতে ত্রুটি ধরা পড়েছে।
এ বার সেগুলি হায়দরাবাদের “ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া”কে ফেরত পাঠাচ্ছে কমিশন।
তৃণমূল-সহ কয়েকটি বিরোধী দল সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের ভোটে ইভিএমে কারচুপি নিয়ে অভিযোগ তোলায় কমিশন প্রথম থেকেই সতর্ক।
তাই, পরীক্ষা পর্ব মিটতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও মেশিন সরবরাহক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ”ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া”র এইসব মেশিনের ত্রুটি নজরে এনে, পরিবর্তে নতুন ও ত্রুটিহীন মেশিন পাঠাতে বলেছেন।
আমাদের রাজ্যর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের সব বুথেই নতুন ইভিএমে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সেই মতো কয়েক দফায় ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭০০ মেশিন কেনা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্য। এর মধ্যে ইভিএম রয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৭০০
প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণে যা থাকে, সেই “কন্ট্রোল ইউনিট” এসেছে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫০০ ভোটারদের কাছে ভোট দেওয়ার পর কারচুপি নিয়ে সন্দেহ দূর করতে এ বার প্রতি বুথেই দেওয়া হবে ভিভিপ্যাট।
যে প্রতীকে ভোটার তাঁর ভোট দিয়েছেন, সেই VVPAT মেশিন থেকে তার প্রিন্ট আউট বেরোবে।
আমাদের রাজ্যের জন্য এই VVPAT মেশিনের সংখ্যাটা এবার ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫০০টা। টানা পরীক্ষা চালিয়ে ১৮৪৮টি ভিভি প্যাটে যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। ২১১০টি ইভিএম এবং কন্ট্রোল ইউনিটেও একই ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে।
সেই ত্রুটিহীন বা ত্রুটিমুক্ত EVM এবং VVPAT ভোটার মেশিন আজ পরিক্ষা মুলক ভাবে প্রদর্শিত হলো #___শিরাকোল_গ্রাম_পঞ্চায়েত_অফিসে।
প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব শিরাকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান মাননীয় প্রতাপ পুরকাইত মহাশয়, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাননীয়া মাধবী নস্কর মহাশয়া, উপপ্রধান মাননীয় আব্দুল রহিম মোল্লা মহাশয়, পঞ্চায়েত সদস্য আলকাশ হালদার, জাকির হোসেন মন্ডল, সহ বিভাগীয় আধিকারিক গন। আজ বৃহস্পতিবার।