|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- যানজট রুখতে উদ্যোগী প্রশাসন। টোটো নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের শহরের টোটোগুলির নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু করল বর্ধমান পৌরসভা। বর্তমানে বর্ধমান শহরে ব্যাটারি চালিত ই-রিক্সার সংখ্যা প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার। শুধু বর্ধমান শহরই নয়, শহরের বাইরে জেলার বিভিন্ন গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ব্যাটারি চালিত ই-রিক্সাও ভিড় জমায় বর্ধমান শহরে। এর আগে শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণে আনতে বহু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসক। পরিকল্পনাই সার, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ টোটো চালকদের।প্রায় বছর সাতেক আগে শহরের টোটো নিয়ন্ত্রণে আনতে লটারির মাধ্যমে টোটো লাইসেন্স দেয় জেলা প্রশাসন। লাইসেন্সর জন্য জেলা আর টি ও দফতরে ৫৪০টাকা করে জমাও করেন টোটো চালকরা। কিন্তু কোনো কাজই হয়নি বলে অভিযোগ চালকদের। টোটো নিয়ন্ত্রণে আনতে পালা সিস্টেমও করা হয়েছিল। স্থির করা হয়েছিল, সকালে এক রং-য়ের, বিকেলে অন্য রং-য়ের টোটো চলবে। কিন্তু সবই ছিল খাতায় কলমে, বাস্তবায়িত হয়নি সেসব কিছুই। তবে ফের টোটোর রং করা হচ্ছে নীল সাদা।ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার, শহরের যানজট নিয়ে ফের বৈঠক সারেন জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা সহ পুলিশ সুপার, বিধায়ক, পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সিদ্ধান্ত হয়, টোটো নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের পালা সিস্টেম করা হবে। তবে এবারের এই নতুন সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে টোটো চালকদের মধ্যে।