|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: বেকারত্ব, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে লাগাতার অভিযোগ উঠছে বাংলায়। এবার সেই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিকাশ ভবন অভিযান করল বিজেপির যুবমোর্চা সংগঠন। দফায়-দফায় মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পালটা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় গেরুয়া বাহিনী। সবমিলিয়ে বুধবার দুপুরে বিজেপির বিকাশ ভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে। ধ্বস্তাধ্বস্তি এবং জলকামানে কয়েকজন দলীয় কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।
এদিন করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলেন পরিকল্পনা ছিল বিজেপির যুবমোর্চার। মিছিলে যোগ দিতে দিল্লি থেকে উড়ে এলেন বিজেপির যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্ব সূর্য। যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালরা। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে মিছিলে অনুপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এদিনের আন্দোলনেও ফের প্রকাশ্যে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
করুণাময়ী মোড় থেকে মিছিল খানিকটা এগোতেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের আটকে দেওয়া হয়। গার্ডরেল দিয়ে একের পর এক ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। কিন্তু কোনও বাধাই মিছিল আটকাতে পারেনি। শেষে মিছিল ময়ূখ ভবনের কাছে পৌঁছতেই জলকামান ছুঁড়তে থাকে পুলিশ। এর মধ্যেও সুকান্ত মজুমদার পরপর দু’টি ব্যারিকেড ভাঙেন। পরে অবশ্য পুলিশি বাধা পেরিয়ে বেশি এগোন সম্ভব হয়নি। বরং রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখিয়ে ফিরে আসতে হয় তাদের।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বাংলায় গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। আন্দোলনের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তাই মিছিলে জলকামান প্রয়োগ করে পুলিশ। যদিও সল্টলেকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিধাননগর পুলিশের দাবি, মিছিলেন অনুমতিই ছিল না। তাই প্রথমে জমায়েতকারীদের ফিরে যেতে বলা হয়। কথা না শোনায়, জলকামান প্রয়োগ করা হয়।
এদিন বিজেপির মিছিল প্রসঙ্গে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি বাংলায় অরাকজকতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন সুকান্তবাবু দলেক মধ্যেই সমালোচিত হচ্ছেন। তার জমানায় শুধু হার আর হার। তাই নিজেকে প্রাসঙ্গিক করতে ১০০-১২০ জন লোককে নিয়ে মিছিল করতে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে তো বিজেপি নেতাদের নিরাপত্তারক্ষীরাও ছিলেন।” এর পরই তাঁর কটাক্ষ, “ওঁরা জানেন ওখানে জলকামান ছোঁড়া হবে। তাই গরমের মধ্যে ভিজতে গিয়েছিলেন।”