একের পর এক বেড়েই চলেছে পথ দুর্ঘটনা তবুও হুঁশ ফিরছেনা আমজনতা থেকে শুরু করে গাড়ি চালকদের

নিজস্ব সংবাদদাতা : একের পর এক বেড়েই চলেছে পথ দুর্ঘটনা। তবুও হুঁশ ফিরছেনা আমজনতা থেকে শুরু করে গাড়ি চালকদের। নিত্যদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকছেন রাজ্যবাসী। তাদের মধ্যে পিছিয়ে নেই নদিয়াও। বেশ কয়েক মাস আগে ভোরবেলা একটি শববাহী গাড়ি পথদুর্ঘটনায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল একই পরিবারের একাধিক সদস্যের। এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী ছিল গোটা দেশবাসী। তারপরেও হুঁশ ফেরেনি সাধারণ মানুষের। বিশেষত দু চাকার মোটরবাইক আরোহীদের হেলমেটহীন অবস্থায় বাইক চালানো, দ্রুত গতিতে বাইক চালানো, যা রাস্তায় বেরোলেই সাধারণত দেখা যায়৷
শুধু দু চাকা নয়, চারচাকার গাড়িও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে৷ বিনা সিটবেল্টেই গাড়ি নিয়ে ছোটেন চালক৷ এছাড়াও জাতীয় সড়কে বাস, ট্রাক, লরির রেষারেষির ফলে প্রাণ হারিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক নজরদারি চালালেও অনেকেই এখনও নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ৷পথ দুর্ঘটনা কমাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পটি চালু করেন। তারপর থেকেই এই প্রকল্প চলছে রাজ্য জুড়ে৷ বুধবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে নেওয়া হয় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি। এদিন রাস্তায় দেখা গেল থানার কর্মকর্তারা বিনা হেলমেটে মোটরবাইক আরোহীদের থামিয়ে তাদেরকে সচেতন করছেন। মনে করিয়ে দেন, ‘সাবধানে গাড়ি চালান এবং নিজের জীবন বাঁচান’।প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের ফলে লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। সেই সময় যানবাহন তেমন বের হয়নি রাস্তায়। বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পথ দুর্ঘটনার খবর নিত্যদিন শোনা যাচ্ছে। সেই কারণেই বুধবার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে নেওয়া হয় সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি।