সাংবাদিকতা সহ বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু রাজারহাটের ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজে

এমডি সালমান হেলাল : রাজারহাটের ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজে শুরু হয়েছে ব্যাচেলর অফ ভোকেশনাল ও ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া। চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য সাংবাদিকতা, পাবলিক রিলেশন ও ফটোগ্রাফি সহ বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি নেওয়া হবে পড়ুয়াদের। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের তরফে সে সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কলেজের ওয়েবসাইটে গিয়েই ভর্তির আবেদন জানাতে পারবেন পড়ুয়ারা।

    রাজারহাটের এই কলেজে ব্রডকাস্ট জার্নালিজম, পাবলিক রিলেশনস, প্রিন্টিং অ্যান্ড বুক পাবলিশিং নামক তিনটি কোর্স চালু রয়েছে। যেসব কোর্স করে পড়ুয়ারা ব্যাচেলর অফ ভোকেশনাল ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন, যা গ্র্যাজুয়েশন সমতুল্য। এছাড়াও, পড়ুয়াদেরকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের জন্য ১ বছরের ডিপ্লোমা ইন ফটোগ্রাফি অ্যান্ড ভিডিওগ্রাফি এবং ডিপ্লোমা ইন ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামক দুটি কোর্স রাখা হয়েছে। তবে সব কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান করবে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

    ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক অনির্বাণ বসু রায় চৌধুরীর কথায়, নতুন নতুন বিষয় নিয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা অর্জন করে ক্যরিয়ার তৈরি করার সুযোগ এনে দিয়েছে ভারত সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন। এই অবস্থায়, পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের পড়াশোনা যেসব প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ সরকার পোষিত ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজ। ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মমুখী করে তুলতে এই কলেজে বিভিন্ন কোর্স চালু রয়েছে। যেসব কোর্সে বিএ, বিএসসি, বিকম এর মতই বিভোকে ভর্তি হয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। এমনকি তাঁরা নিজেদেরকে চাকরির জন্য উপযোগী করে তুলতে পারবেন।

    এছাড়া তিনি আরও জানান, এই কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের জন্য কলেজে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে ব্রডকাস্ট ষ্টুডিও, ষ্টুডিও ফ্লোর, ফটোশুট করার ফ্লোর, প্রোডাকশন কন্ট্রোল রুম, ডাবিং স্টুডিও। এছাড়াও রয়েছে ওয়েব স্ট্রিমিং এর সুবিধা, বিভিন্ন ফরম্যাটের ব্রডকাস্ট ও মুভি ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা, অ্যাঙ্কারিং এর জন্য টেলিপ্রম্পটার ইত্যাদি। যেগুলো পড়ুয়ারা সবসময় ব্যবহার করে নিজেদেরকে আরও প্রশিক্ষিত করতে পারবেন।

    কিন্তু মন্দার বাজারে চাকরি মিলবে কোথায়? অধ্যাপক অনির্বাণ বসু রায় চৌধুরী বললেন, এই কোর্সে পড়াকালীনই ছাত্রছাত্রীরা কলেজ ক্যাম্পাসিং -এর মাধ্যমে নামীদামী বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, প্রিন্টিং হাউসে কাজ করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। এছাড়াও আবার অনেকে কর্পোরেট সেক্টরে পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে কাজ করে কলেজের নামকে সমুজ্জ্বল করেছেন।