|
---|
বীরভূম: সংশোধনাগারে ভিতরেই জয়ের খবর পেলেন বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিক। তিনিই বীরভূম জেলার একমাত্র বিরোধী মুখ যিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।এছাড়া বীরভূম কার্যত বিরোধী শূন্য। এই একটি ওয়ার্ড ছাড়া সবুজ আবিরে ঢেকে গিয়েছে বীরভূম।
১৮ আসনের রামপুরহাট পুরসভায় ৫ টি আসনে আগেই জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। ১৩ টি আসনে নির্বাচন হয়। তার মধ্যে শুধুমাত্র ১৭ নম্বর ওয়ার্ডটি দখল করেছে সিপিএম। ১৫৩ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী আব্দুল মালেককে হারিয়ে দেন তিনি। ভোটের দিন ওয়ার্ডের অমল স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩৭ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট আটকাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হন সঞ্জীব মল্লিক।দুপুরের দিকে রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বুথে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল। বিরোধী শিবির সিপিএমের সমর্থকদের দাবি ছিল, দুপুরের পর কিছু দুষ্কৃতী বুথ দখল করে ছাপ্পা মারতে শুরু করে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিককে। এমনটাই অভিযোগ বামেদের। এমনকী তাঁকে বাঁচাতে এসে নিগৃহীত হন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। সেই বুথেই ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
প্রিসাইডিং অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সঞ্জীবকে গ্রেফতার করে। ভোট গণনার সময় তিনি ছিলেন রামপুরহাট জেল হেফাজতে। দুপুরের দিকে পুলিশের পেশ করা কেস ডায়েরির ভিত্তিতে রামপুরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দেয়।
সঞ্জীব মল্লিকের স্ত্রী ডালিয়া মল্লিক বলেন, “এই জয় মানুষের জয়। তৃণমূল সন্ত্রাস করেও জয় আটকাতে পারেনি। স্বামীকে মিথ্যা মামলায় সংশোধনাগারে পাঠাল। তারপর দেদার ছাপ্পা দিয়েও জয় আটকাতে পারেনি। আইনজীবী সত্য ভট্টাচার্য বলেন, “এলাকার মানুষ সন্ত্রাস চাইছে না। তাছাড়া সঞ্জীব মল্লিককে ডাকলেই মানুষ কাছে পায়। ছেলেটা পাশে থাকতে কোন দল থাকে না। দিন রাত পরিষেবা দেয়। মানুষ বিপদে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে দেখভাল করে সে। তাই ওয়ার্ডের সব দলের মানুষ তাকে ভোট দেয়। ছাপ্পা দিয়ে তাকে হারানো যাবে না” । সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “মানুষ সঞ্জীব মল্লিকের সঙ্গে আছে এটা আবার প্রমাণ হয়ে গেল। শাসক দলের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, ছাপ্পা, তৃণমূলের পক্ষ নিয়ে পুলিশ দালালি করেও আমাদের প্রার্থীদের হারাতে পারেনি” দাবি তাঁর। ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দলীয় স্তরে তদন্ত করে দেখব কেন ওই ওয়ার্ডে পরাজয় হল”।