“যৌনকর্মীদের সচিত্র সরকারি পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজে দেরি করা যাবেনা”: সুপ্রিম কোর্ট

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: যৌনকর্মীদের সচিত্র সরকারি পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজে দেরি করা যাবে না বলে ফের স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ চার সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে জানাতে হবে, সেখানে বসবাসকারী যৌনকর্মীর সঠিক সংখ্যা কত। পাশাপাশি জানাতে হবে, কোন পথে রাজ্য তাঁদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজে এগোতে চাইছে। সোমবার যৌনকর্মীদের রেশন দেওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বিআর গভাইয়ের বেঞ্চ৷ বিভিন্ন রাজ্যের পেশ করা হলফনামা, সেখানে উল্লিখিত যৌনকর্মীদের সংখ্যা নিয়ে এ দিন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি রাও৷

    তাঁর কথায়, ”করোনায় ব্যাপক প্রভাবিত হয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের যৌনকর্মীরা৷ তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অনাহারে দিন কেটেছে। চরমে পৌঁছেছে তাঁদের দুর্দশা৷ আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতো যৌনকর্মীরাও দেশের নাগরিক। তাঁদেরও বেঁচে থাকার সাংবিধানিক অধিকার আছে৷ আমরা যখন তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতে চাইছি, তখন কয়েকটি রাজ্য যৌনকর্মীদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে৷ এই মানসিকতা দুর্ভাগ্যজনক৷” আদালতবান্ধব আইনজীবী পীযূষকান্তি রায় শীর্ষ আদালতে অভিযোগ জানান, সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির সক্রিয় সহযোগিতা না পেয়ে থেমে থাকছে যৌনকর্মীদের সার্বিক উন্নয়ন৷ এর পরেই বিচারপতি রাও জানান, দ্রুত যৌনকর্মীদের সচিত্র পরিচয়পত্র প্রদানের কাজ করতে হবে সব রাজ্যকে৷

    উল্লেখ্য, এই শুনানিতে শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, করোনাকালে খাদ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে বসবাসকারী সব যৌনকর্মীকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কাজ করেছে সরকার৷ যাঁদের রেশন কার্ড নেই, তাঁরাও বিনামূল্যে রেশন পেয়েছেন বলে জানান রাজ্যের আইনজীবী রাঘেন্দ্র বসন্ত৷ আবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী যৌনকর্মীদের নিখরচায় আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হোক৷ শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছে৷