শান্তিপুর জুড়ে পালিত ১২৩ তম নেতাজী জন্মজয়ন্তী।

শরীফুল ইসলামঃ  গান , কবিতা, শ্রদ্ধা আবেগ আর ফুলে ফুলে গোটা দেশের সঙ্গে শান্তিপুরেও যথাযত মর্যাদায় পালিত হলো সুভাষ চন্দ্র বোস- এর ১২৩ তম জন্ম জয়ন্তী। আগের দিন থেকেই শান্তিপুরের সমস্ত ফুলের দোকানিরা রজনীগন্ধা, গাঁদা সহ নানা ফুলের ডালি নিয়ে সাজিয়ে রাখে দোকানে। এদিন, ভোর থেকেই শান্তিপুরের ‘বনফুল’, ‘ফুলমহল’সহ সমস্ত ফুলের দোকানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। একটু সকাল হবার সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, ক্লাব বাণিজ্যিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা, নেতাজির ছবি কোথাও তাঁর পূর্ণ বা আবক্ষ মূর্তি ঘিরে জড়ো হয় স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে চাকুরী জীবি ব্যবসাদার সহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ। যে যাঁর সংগঠনে উপস্থিত হন নির্দিষ্ট সময়ে। জাতীয় সংগীত ও ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বন্দেমাতারাম প্রতিধ্বনিত হবার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘নেতাজী’র জয়ধ্বনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সড়ক জুড়ে সুসজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে ক্লাব ব্র্যান্ড পথ ধরে সারি দিয়ে ডাকঘর নেতাজী মূর্তি তে মালা দেয়।তাঁদের মধ্যে অনেকে সংক্ষিপ্তভাবে সুভাষ বোসের জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদানের বিষয়ে আলোকপাত করেন। নেতাজী জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ শহরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠিনের পক্ষ থেকে রক্তদান, দুঃস্থদের বস্ত্রদানের মতন বেশ কিছু কর্মসূচিও নেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর কয়েকটি ক্লাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিল গান, আবৃত্তি ও বিতর্ক, শিশু-কিশোরদের বসে আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন। সুভাষ বোসের মৃত্যু হয়তো আজো রহস্যাবৃত। কিন্তু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদ হিন্দ ফৌজ ও নেতাজীর অবদান নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই স্বাধীনতার বাহাত্তর বছর পরেও বহু ভারতবাসীর চোখে কেন জানি না জল চলে আসে।
স্বাধীন ভারতের মাটিতে প্রতি বছর তাঁর জন্ম দিন এলে একরাশ অভিমান বুকে কাজীর সুরে তাঁরা গেয়ে ওঠেন, ” জীবনে যাঁরে তুমি দাও নি মালা, মরণে কেন তাঁরে দিতে গেলে ফুল।’