সহকর্মীর মরণ যন্ত্রণা দেখেও গাড়ি ছুটিয়ে পালাল পুলিশ দূর্ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা

শুভ চক্রবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর:-কাঠভর্তি বেপরোয়া পিকআপ ভ্যানকে আটকানোর চেষ্টা, সিভিক পুলিশ সহ ব্যারিকেডে ধাক্কা, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে অবরোধ উত্তেজনা।

    আজ বছরের প্রথম দিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের নির্দেশে আনন্দপুর থানার পুলিশের নাকা চেকিং চালাচ্ছিল।সেই সময় সামনে হাজির হয়েছিল কাঠ ভর্তি পিকআপ ভ্যান। পুলিশের বাধা টপকে পালাচ্ছিল ভ্যানটি, পরের স্টপেজে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর নির্দেশ দেয় নাকার পুলিশেরা। দ্রুতগামী ভ্যানটি ব্যারিকেটসহ সিভিক ভলেন্টিয়ার কে তুলে নিয়ে গিয়ে ঢুকিয়ে দেয় দোকানে। দুর্ঘটনার পর ভ্যান ফেলে পালায় চালক। স্থানীয়দের দাবি-” পেছনে ধাওয়া করা একটি পুলিশ ভ্যানও আহত ভলেন্টিয়ারকে না উদ্ধার করে বেগতিক মনে করে পালায়।” এতেই ক্ষুব্দ স্থানীয়রা রবিবার বিকেলে রাস্তা অবরোধ করে দীর্ঘ বিক্ষোভ শুরু করে। রবিবার বিকেল চারটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানার পাঁচখুরি এলাকায়।

    স্থানীয়দের দাবি, আনন্দপুরের কেশুরগেড়িয়া এলাকায় পুলিশের একটি নাকা চলছিল। নাকার সামনে একটি কাঠভর্তি পিকআপ ভ্যান এসে গেলে পুলিশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। ভ্যানটি পুলিশকে এড়িয়ে গতি বাড়িয়ে ফেরার হয়। এরপরই নাকার পুলিশ ফোন করে পরবর্তী স্টপেজ পাঁচখুরি এলাকায় সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ওই পিকআপ ভ্যানকে আটকানোর জন্য ব্যারিকেড দিতে বলে। সেইমতো মানস পাত্র নামে এক সিভিক ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে দ্রুতগামী পিকআপ ভ্যান ব্যারিকেডসহ সিভিক কে প্রচন্ড জোরে ধাক্কা মেরে একটি দোকানে ঢুকিয়ে দেয়। প্রচন্ড জোরে দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি ফেলে পালায় পিকআপ ভ্যানের চালক। স্থানীয়দের দাবি ওই সময় ওই পিকআপ ভ্যানকে ধাওয়া করছিল একটি পুলিশের ভ্যান। পুলিশের তাড়ায় এমন দুর্ঘটনা হতে দেখে বেগতিক মনে করে ভ্যানটি সিভিককে উদ্ধার না করে নাকি পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

    এরপরই স্থানীয় লোকজন ওই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। কেশপুর চন্দ্রকোনা রোডের পাঁচখুরি এলাকায় এই অবরোধে দীর্ঘ যানজট শুরু হয়। সামাল দিতে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।