|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- কুন্তি নদীর পাড় ভাঙ্গন ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ভাঙার বিষয়টির খবর পেয়ে, ইঞ্জিনিয়ারদের টিম নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী। এদিন এলাকা পরিদর্শন করতে এসে মনোজ চক্রবর্তী বলেন, চন্দ্রহাটি এক নম্বর পঞ্চায়েতের ব্যানার্জি কলোনি, রেল কলোনি সহ কয়েকটি কলোনির বাসিন্দা দের বাড়ি ঘর কুন্তি নদীর ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান সার্ভে করার পর সরকার একটি টেন্ডার তৈরি করেছে ২৬ লক্ষ টাকার। এই টেন্ডারের কাজ আগামীকাল থেকে শুরু হবে। কোনটি নদীর পাড় শালবল্লার দিয়ে বাঁধানো হবে। ভবিষ্যতে ৫ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ হবে, তার জন্য ডিআরপি তৈরি করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে।চন্দ্রহাটি ১নং পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শক্তিপদ দাস বলেন, “আমরা যতটা সাহায্য করার, করছি। বিডিও ও জেলা স্তরে জানিয়েছি। যাতে ভাঙন রোধ করা যায়, তার জন্য রাজ্যকে বিষয়টি জানাব। সেচ দফতরের পক্ষ থেকে সরজমিনে ভাঙন ও ধস দেখা দিয়েছে। আসাম লিঙ্ক রোড থেকে ভাগীরথী নদী পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছে। টাকা অনুমোদন হয়েছে৷ এখন মাত্র কাজ শুরুর অপেক্ষা।” পঞ্চায়েতের তরফে ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুন্তি নদীর পাড় ভাঙ্গনের ফলে ঘুম উড়েছে হুগলি কল্যাণীর চন্দ্রহাটি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি কলোনির। এলাকায় প্রায় কুড়িটি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেওয়াল ভেঙে পড়েছে, আতঙ্কে বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না। ওপার বাংলা এপার বাংলার বিভক্ত সময় গড়ে ওঠা কলোনি সরকারের তরফ থেকে পাট্টা জমি তে বসবাস করতে দেওয়া হয় একশরও বেশি পরিবারকে। এখানে বসবাসকারী বেশিরভাগ বাসিন্দারাই পেশায় হয় মৎস্যজীবী না হলে শ্রমিক। নদীর পাড় ভাঙ্গনের ফলে যে ভয়াবহ ভাবে তাদের বাড়ি ভাঙছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই।