‘ভুয়ো টিআরপি’ কাণ্ডে ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে রাজ্যে রাজ্যে রিপাবলিকের আঞ্চলিক চ্যানেল খুলে খুলে আগের থেকে নিজের পক্ষে বেশ খানিকটা হলেও পাল্লা ভারী করেছেন গেরুয়া শিবিরের পছন্দের সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী। কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে ‘ভুয়ো টিআরপি’ কাণ্ডে ক্রমেই আরও সাঁড়াশি চাপের মুখে পড়ছেন রিপাবলিক প্রধান অর্ণব গোস্বামী। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটেও বড়ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে মুম্বই পুলিশ।

    ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য 

    অন্যদিকে ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মিডিয়া বাজারে নিজেদের সংস্থাকে এক নম্বর প্রমাণ করতে শুরুতেই টিআরপি প্রতারণ ছক নিজের মাথায় কষে ফেলেছিলেন অর্ণব। তারপর সেই কাজে তাকে সাহায্য করেন ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি)-এর প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্ত। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ চ্যানেল টাইমস নাও-র টিআরপি-র থেকে রিপাবলিক টিভির টিআরপি বেশি দেখাতে গোপনে চক্রান্ত করেন দুই মহারথি।

    ৪৩১ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে টাইমস নাও

    ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরে এই পার্থই বিএআরসি-র গোপন তথ্য অর্ণবের কাছে ফাঁস করেছিলেন বলে জানা যায়। এমনকী তাদের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন অর্ণব। পাশাপাশি চ্যানেলটির সিওও প্রিয়া মুখোপাধ্যায়ের চ্যাটেও এর ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানাচ্ছে ক্রামই ব্রাঞ্চ। চার্জশিটে তাঁরও নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই ঘৃণ্য চক্রান্তের জেরে টাইমস নাও-কে ৪৩১ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বলে জানা যাচ্ছে।

    পুলিশি জেরায় নিজের দোষকবুল পার্থ দাশগুপ্তের

    পুলিশের দাবি পার্থ-অর্ণবের এই অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের কারণেই অচিরেই টিআরপি-র নিরিখে এক নম্বর চ্যালেন হিসাবে উঠে আসে রিপাবলিক টিভি। যদিও এর জন্য অর্ণবের থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন বার্কের প্রাক্তন প্রধান পার্থ দাশগুপ্ত। কিছুদিন আগেই তিনিও পুলিশের জালে ধরা পড়েন। পুলিশি জেরায় ইতিমধ্যেই তিনি নিজের দোষও কবুল করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যেই রচিত হয় যাবতীয় চক্রান্ত

    ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে ২০১৯ সাল নভেম্বর পর্যন্ত বার্কের সিইও দায়িত্ব ছিল পার্থ দাশগুপ্তের উপর। সেই সময়েই তিনি যত কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা যায়। এমনকী এই ঘটনার পর বার্কের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও সেই সব অভিযোগের সত্যতাই প্রমাণ হয়। তবে শুধু পার্থ বাবু নন এই গোটা কারচুপির পিছনেই একটা চক্র কাজ করত বলে জানা গিয়েছে।