নদীয়া জেলার নাকাশিপাড়ায় সভা করতে দেওয়া হয়নি শুভেন্দু অধিকারীকে

নিজস্ব সংবাদদাতা : নদীয়া জেলার নাকাশিপাড়ায় সভা করতে দেওয়া হয়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। সাম্প্রদায়িক অশান্তির আশঙ্কার কথা জানিয়ে তাঁকে সভা করতে দেওয়া হয়নি। যার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। তবে শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখে দিলেন বিচারপতি।আজ এই মামলা শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী আদালতে জানান,”নাকাশিপাড়ায় ঝামেলার প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে।

    জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে ১৩ ই জুন আদালত নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যকে, পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করতে। রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১৪ ই জুন সেখানে পাবলিক, প্রাইভেট সম্পত্তি নষ্ট করা হয়।গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ১৫ ই জুন আদালত আবার রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল, সমস্ত কিছু ভালো করে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।”তিনি আরও জানান, এরপর রাজ্য আদালতে জানায়, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। লোকের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে প্রচার করা হচ্ছে।

    কিন্তু সেই এলাকায় মিটিং করতে চাইলে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট রিপোর্ট দিয়ে জানায় আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভালো নয়। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বলা হয় সাম্প্রদায়িক অশান্তি ঘটতে পারে। তাই এখন কোন মিটিং, মিছিল করতে দেওয়া হবে না। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্য গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা দিচ্ছে। যে কোন জায়গায় যখন খুশি ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। তার একটা নিয়ম আছে। এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। ১৪৪ ধারা জারি করে গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশকে রুদ্ধ করা যায় না, সুপ্রিম কোর্টের পরিষ্কার নির্দেশ আছে।

    এরপর রাজ্যের পক্ষ থেকে এজি আদালতে জানান, “এই ধরনের আবেদন আদালতে বাতিল করা উচিত। জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাওড়া, অঙ্কুরহাটিতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য ১৪ ই জুনের একটা রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আপত্তি তোলা হয়েছে। দেশবন্ধু পাঠাগার যেখানে ১৩ তারিখ প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছিল। সেই জায়গায় মিটিং করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেখানে রিপোর্টে পরিস্কার বলা হয় যে ঐ এলাকার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এখনো ঐ জায়গায় সচেতনতা মুলক প্রচার চালানো হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যাতে বজায় থাকে। এই ধরনের মামলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”এরপর প্রধান বিচারপতি জানান, “এই মামলায় গুরুত্ব দেওয়ার মত বিষয় খুজে পাচ্ছি না।” মামলার রায়দান স্থগিত করে দেন তিনি।