|
---|
লুতুব আলি : কাঁথির শিক্ষক জন্মদিনে গ্রামের চাষীদের কাস্তে সব্জি বীজ ফুল মিষ্টি বিতরণ করলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ভূমিপুত্র শ্যামল জানা র জন্মদিন ছিল গতকাল ৪ ঠা মে। জন্মদিন উপলক্ষে কাঁথিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। গ্রামের চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে শ্যামল বাবু এদিন কাস্তে, গামছা, ওল চারা, ভিন্ন ধরনের সবজি বীজ, গাছের চারা, মিষ্টির প্যাকেট ফুল বিতরণ করেন। গ্রামের চাষীরা এই ধরনের আপ্পায়ন পেয়ে আপ্লুত হন। কাঁথি ১নং ব্লকের কুলাই পদিমা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয় এ শিক্ষকতা করেন। নীরবে, নিভৃতে শ্যামল বাবু জনসেবামূলক কাজ করে এলাকায় সমাদৃত হয়েছেন। জিল জেলাস্তরে অনেক সংগঠন তাঁকে পুরস্কৃত করেছে। করোনাকালে সামাজিক কাজ করে পেয়েছেন জি ২৪ ঘন্টা আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড। শ্যামল বাবু ছোটবেলা থেকে দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে ও পরবর্তীকালে সামাজিক কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়ে যান। বছর দশেক আগে তিনি শিক্ষকতা পান। চাকরি পেয়ে জনসেবামূলক কাজের গতি আরো বেরে যায়। বেতনের অর্ধেক টাকা চলে যায় সামাজিক কাজে। এলাকায় ৫০ বছর বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে, ও যেকোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে গাছ নিয়ে হাজির হয়ে যান। দুস্থ পরিবারের মেয়ের বিয়েতে আর্থিক সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হন। উল্লেখ্য, রাজ্যের ২১ জেলায় বৃক্ষরোপণ করেছেন। শ্যামল বাবুর ইচ্ছা নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কাতেও বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি রূপায়ণ করা। পাঁচ হাজার বট গাছ লাগানো তাঁর মনের বাসনা। এক সাক্ষাৎকারে শ্যামল বাবু জানান বাপের হোটেল নামে তার বাড়িতে একটি হোটেল চালাচ্ছেন। সেখানে পশ পাখি, জীবজন্তুদের বিভিন্ন স্বাদের খাবারের পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন তারা এখানে এসে নির্ভয় খাবার খেয়ে যায়। সম্প্রতি কেলেঘাই নদীর ভাঙ্গনে ভগবানপুর পটাশপুর এর বিভিন্ন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়লে শ্যামল বাবু প্রায় এক মাস ধরে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এলাকার বাসিন্দা কমলেশ নন্দ বলেন শ্যামল বাবু নিরলসভাবে যে সমাজ সেবা করে যাচ্ছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। শ্যামল বাবুর স্ত্রী মনিকা জানা তাঁর এগিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ভাবে সহযোগিতা করেন। শ্যামল বাবুর একমাত্র লক্ষ্য দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো ও সবুজায়ন দিয়ে মুড়ে ফেলা।