লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পথে ফেরি করতে বাধ্য হচ্ছেন

পল মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ লকডাউনের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়া ছোট ছোট ব্যবসায়ী এবার গরমের মধ্যে গঙ্গারামপুর শহর সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে তালের শাঁস বিক্রি করে আত্মনির্ভর হচ্ছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় দিনের বেলায় দেখা যাচ্ছে ছোট ভ্রাম্যমাণ ভ্যান গাড়িতে ১০ টাকা পিস প্রতি তালের শাঁস বিক্রি করছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।

    প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য সমগ্র দেশ তথা রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন গত কয়েকদিন আগে সরকারি নির্দেশিকার পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে গ্রীণ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই গ্রীন জোনের আওতায় পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ব্যস্ততম ব্যবসার প্রতিষ্ঠিত গঙ্গারামপুর শহর। শহরের বিভিন্ন জায়গায় দিনের বেলায় দেখা যাচ্ছে রাস্তার ধারে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে তালের শাঁস বিক্রি করছেন ছোট ব্যবসায়ীরা যা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা যে কারনে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে বিস্তর। টানা তিনমাস লকডাউনের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া ছোট ব্যবসায়ীরা কার্যত সমস্যায় পড়েছিলেন তাদের লক্ষ্মীর ভাঁড়ে টান পড়ে ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা হয়ে পড়েছিল সংসার চালাতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছিল।

    তবে এবার গরমে তালের শাঁস বিক্রি করে আত্মনির্ভর হচ্ছে না তারা অনেকটা যে কারনে সংসারের হাল ফেরাতে সক্ষম হচ্ছেন এসব ছোট ব্যবসায়ীরা বলে জানা যায় এই বিষয়ে এক তালের শাঁস বিক্রেতা বলেন, লকডাউনের জন্য কাজ হারিয়েছিলাম কিন্তু এখন মালিকেরা টোটো দিচ্ছেন না তারা নিজেরাই চালাচ্ছেন তাই গরমে তালের শাঁস বিক্রি করছি সারাদিন হাতেগোনা ২০০;টাকা থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করে পুঁজি আসছে আর তাতেই কোনরকম চলে যাচ্ছে দিন গুজরান হচ্ছে, কিন্তু শান্তিতে থাকতে পারছি জানিনা কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তবে এই বিক্রি করেই খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। এদিন গঙ্গারামপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় সুমিষ্ট গরমের সময় তালের শাঁস কিনতে ক্রেতাদের ভিড় জমেছে পাশাপাশি মুখে হাসি ফুটেছে এইসব ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের মুখে। বলাবাহুল্য লকডাউনের মাঝে কর্মহীন হয়ে পড়ায় নানান ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়িতে পিস প্রতি ১০ টাকা করে তালের শাঁস বিক্রি করে অনেকটা আত্মনির্ভর হচ্ছেন।