|
---|
নবাব মল্লিক, রায়দিঘী: কাশীনগরে চিত্ত রায়ের পোল্ট্রি ফার্ম থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছিল একের পর এক মুরগি। বেশ কয়েকদিন পাহারা দেওয়ার পরেও ধরা পড়ছিল না মুরগি চোর। অবশেষে আজ সকালে ধরা দিল চোর বাবাজি। সাত ফুটের কেউটে দেখে হতবাক চিত্ত রায়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আশেপাশের স্থানীয় জণগণের খবর দেয় সে। উৎসাহী জণগণ লাঠি হাতে ভিড় করে পোল্ট্রি ফার্মের সামনে। সেই সময় কাশীনগরের প্রধাণ সান্ত্বনা প্রামানিক এর কাছে খবর যায়। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি হাজির হয় তার স্বামী অর্ণব প্রামানিক ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তারাই প্রথমে খবর দেয় বণদপ্তরের কাছে। অবশেষে বণদপ্তর ১১.৩০ এর দিকে হাজির হয়ে সাপটিকে উদ্ধার করে। জানা যাচ্ছে যে সাপটিকে মণি নদীর পাড়ে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। উদ্ধারেকৃত সাপের স্বাস্থ্য পরিক্ষা করার পরই জঙ্গলে তাকে ছাড়া হবে। বণদপ্তর সূত্রে খবর প্রায় আটফুট লম্বা সাপটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সঠিক সময়ে পঞ্চায়েত প্রধান খবর না পাঠালে সাপটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হত না। ওদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি আগে এলাকায় প্রচুর সাপ দেখা গেলেও এখন আর দেখা যায় না। জমিতে মাছধরার জালে আটকে মৃত্যু হচ্ছে প্রচুর সাপের। সুন্দরবন এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হলে সাপ বাচানো একান্ত জরুরি।