যশ সমন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

যশ সমন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    ১) যশের এই মুহূর্তের অবস্থান, চেন্নাই থেকে একটা কাল্পনিক সরলরেখা এবং গঙ্গাসাগর থেকে একটা কাল্পনিক সরলরেখা আঁকা গেলে সেদুটি ঠিক যেখানে মিট করবে, সেখানে দাঁড়িয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে।

    ২) জলের মধ্যে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণি তরঙ্গ তৈরি করছে। অর্থাৎ তার শক্তি ক্রমশঃ বাড়ছে।

    ৩) ফর্মেশন বা গঠন ২২ তারিখ বিকেলে সম্পূর্ণ হবে। অর্থাৎ তখন ডপলার রাডারে তার প্রকৃত চরিত্র ও শক্তি বোঝা যাবে।

    ৪) নিজের গঠন সম্পূর্ণ করে ২২ তারিখ বিকেলের পর থেকে যশ স্থলভাগের দিকে এগোতে শুরু করবে। এই এগনোর কাজটা সাড়ে ৩ বা ৪ দিন ধরে হবে।

    ৫) অর্থাৎ যশ এর ল্যান্ডফল ২৫ তারিখ মধ্যরাত থেকে ২৬ তারিখ ভোররাতের মধ্যে হবে।

    ৬) এখন ফর্মেশন রেডি নয়। তাই অভিমুখ পরিষ্কার নয়। তবু, প্রাথমিক অনুমান যশ ভারত বাংলাদেশ বর্ডারে সুন্দরবন অঞ্চলের কোনো একটি জায়গায় ল্যান্ডফল করবে।

    ৭) ল্যান্ডফলের সময় তার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৩৫ থেকে ১৪০ কিলোমিটার । ( আমপান ল্যান্ডফল করেছিল ১২১ কিলোমিটার)

    ৮) যশ এর ব্যাপ্তি ১৪০০ কিলোমিটার । অর্থাৎ ল্যান্ড ফল থেকে টেল এন্ড পর্যন্ত সে দীর্ঘক্ষণ তাণ্ডব চালানোর মতো আকার ও শক্তি নিয়ে আসছে।

    ৯) ঝড়খালি, কাকদ্বীপ, ক্যানিং। গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, সন্দেশখালি, বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ, বকখালি । ল্যান্ডফলের সর্বাধিক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। ( এখনও পর্যন্ত)

    ১০) উপরোক্ত জায়গাগুলিতে ২৪ তারিখ দুপুরের পর থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়ে যাবে। উপকূলে উঁচু ঢেউ উঠতে শুরু করবে।

    সূত্র : মৌসম ভবন ।