|
---|
শুভ চক্রবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর:-চুলের উদ্ভট কাটিং দেখে ছেলেকে বকুনি দেওয়ার ফল যে এতটা মারাত্মক হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেনি বাবা। বাবার বকুনির চোটে অভিমানের জেরে আত্মহত্যা করল কিশোর।
ফ্যাশন করে চুলের কাটিং করেছিল দাসপুর থানার সালামপুরের কিশোর শুভজিৎ পোড়া(১৪)। ছাত্র অবস্থায় ওই ধরনের চুলের কাটিং দেখে স্বাভাবিক ভাবেই চটে যান শুভজিতের বাবা শ্যামপদ পোড়া ফলে তিনি শুক্রবার ৯ই ডিসেম্বর ছেলেকে বকাবকিও করেন। সেই অভিমানেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শুভজিৎ। গতকাল দুপুরে সে তার নিজেদের বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে এমনটাই পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভজিৎ দাসপুর-১ ব্লকের ব্রাহ্মণবসান হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। সবে তার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এলাকার দাদাদের অনুকরণ করে বিশেষ স্ট্যাইলে চুল কাটার শখ হয় তার । বাড়িতে না জানিয়েই সে এলাকার একটি সেলুন থেকে সিনেমার নায়কদের মতো করে চুল কেটে নিয়ে আসে। তা দেখেই চটে যান শ্যামপদবাবু। ছেলেকে কড়াভাবে বকাবকিও করেন তিনি। ছেলেকে বকাবকির পর উপদেশ দিয়ে বলেন, ছাত্র অবস্থায় ওই ভাবে ডিজাইন করে চুল কাটা ঠিক হয়নি। কারণ, এটা জীবন তৈরি করার বয়স। ব্যস এই টুকুই। বাবার বকুনির কিছুক্ষণ পরেই তাদেরই বাড়ির দোতলা থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।