|
---|
আজিজুর রহমান, গলসি : সরকারী মুল্যে ক্ষতি পুরনের টাকা না মেলায় গেইল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের পাইপলাইন সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করলো চাষিরা। বিষয়টি নিয়ে চাষিরা গলসি ১ ব্লক বিডিও দেবলীনা দাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিডিওকে কাঠ গোড়ায় তোলেন চাষিরা। তবে বিডিও দেবলীনা দাসের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। গলসির গলিগ্রাম মৌজার উত্তর মাঠে ওই ঘটনার জেরে কাজের সাইট থেকে উঠে যায় শ্রমিক ও মাটি কাটার যন্ত্রাংশ। স্থানীয় চাষি মলয় ভট্টাচার্যের দাবী, পাইপ লাইন পুঁততে সেচ ক্যানালের পাশে অধিগ্রহণের বাইরে তিন চার বিঘা জমিতে জমিতে খাল কেটে মাটি রেখেছিল গেইল ইন্ডিয়া। বিনিময়ে তাদের সরকারী মুল্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া কথা হলেও তা দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন চাষি এখন ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বর্ষা চাষের আগে ওই মাটি সরিয়ে জমি সমান্তরাল করার কথা হলেও তা এখনও করা হয়নি। আর এর জন্য তিনি গলসি ১ ব্লক বিডিও দেবলীনা দাসকে দায়ী করে কাঠগোরায় তুলেছেন। তার দাবী, অধিগ্রহণের বাইরের জমি হওয়ায় আগে তারা কাজ বন্ধ রেখেছিল। তখন বিডিও ম্যাডাম তাদেরকে ডেকে মিমাংসা করান। চাষিদের সরকারি নিয়মে ক্ষতিপুরণ পাইয়ে দেবার কথা দেন। তাছাড়াও জমি সমান্তরাল করার কথা দেন। কতৃপক্ষের কাজের জেরে ক্ষতির মুখে পরেছেন বিকাস রায়, পুতুল রাণী রায়, সুভাষ চ্যাটার্জী, বিদ্যুৎ চ্যাটার্জী, সরোজ চ্যাটার্জী, লতিকা ভট্রাচার্ষ ও সঙ্গীতা ভট্রাচার্ষ, অমল রায়, বসন্ত ঘোষর মত চাষিরা। এছাড়া মাটি জমা থাকায় তাদের এবারের বর্ষার চাষও বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। চাষি অমল বায়, বিদ্যুৎ চ্যাটার্জী বলেন জানান, যেখানে কাঠাপ্রতি ২৯৬৮ টাকার কাছাকাছি ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথা সেখানে ৭২০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তাও সবাই পায়নি। চাষিদের থেকে জানতে পারা গিয়েছে, গলিগ্রাম মৌজার জেএল নম্বর ৫৪ এর অধীনে ১৫৪৫, ১৫৪৬, ১৫৪৭, ১৫৪৮, ১৫৪৪, ১৭৭৮, ১৫৮২, ১৭৮০, ১৮৩৫ এই দাগে গুলি অধিগ্রহণের বাইরে রয়েছে। কতৃপক্ষকে বারবার বলার পরও কোন বিহিত না করায় না করায় এদিন পাইপ লাইন সম্প্রাসারণের কাজ বন্ধ করে দেয় চাষিরা। ঘটনাস্থলে থাকা কতৃপক্ষের শ্রমিকরা বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি।