সুপ্রিম কোর্টের রায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করলেও কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ই নিজের নিজের নৈতিক জয় দাবি করছে: সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র রাজ্যের রাজনীতির পারদ চরমে উঠবে

শরীফুল ইসলাম, নতুন গতি,

    সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র-রাজ্য’র জয়- পরাজয় দাবি পাল্টা দাবির মধ্যেই সিপি রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে রাজ্য কে নতুন পাঁচে ফেলতে চলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক,এমনটাই আশঙ্কা করছেন রাজ্য প্রশাসন থেকে শাসক দলের নেতৃত্ব।

    উল্লেখ্য, গত রবিবার, সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল, রাজ্য পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের গ্রেফতারীর ঘটনায় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।

    অভিযোগ -প্রতি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৈরি হয় সাংবিধানিক সংকট।
    গ্রেফতারের পক্ষে জোরালো প্রমান না থাকার কারণে রাজ্য বিরোধী কেন্দ্রের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বাঁচানোর দাবিতে ধর্ণায় বসেন। পিছু হটতে বাধ্য হয় সিবিআই।

    এরপর সিবিআই মামলা সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যায়।
    প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর রায়ে কেন্দ্র রাজ্য উভয়ের স্বস্তির পর নতুন করে পুলিশ কমিশনারের শাস্তি চেয়ে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের চিঠি আসে রাজ্য সচিব মলয় দের কাছে।

    কলকাতা পুলিশ সূত্র, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই সিপি রাজীব কুমার ৮-ই ফেব্রুয়ারি সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দেন বলে জানা গেছে।

    এদিকে, সিবিআই -এর বক্তব্য , রাজীরের চিঠির উপর ভিত্তি করে নয় , সিবিআই কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে রাজীব কে কবে ডাকা হবে।

    যুক্তি-তর্কের মধ্যেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আমলের মতে, রাজ্যে কর্মরত থাকা ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব বাবুর সাময়িক বিড়ম্বনা কাটলেও কেন্দ্রের সরকারের অধীনে চাকুরির সার্ভিস বুক পরিষ্কার রাখা রাজীব বাবুর পক্ষে কতটা নিরাপদ থাকলো দেখতে হলে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

    ঘটনার পরম্পরা লক্ষ্য করে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সামনে লোকসভা নির্বাচন। নিকট সম্প্রতি রাজ্য গুলির নির্বাচনী ফলাফল বিজেপির প্রতিকূলে। বর্তমান বিজেপি দলের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি মোহ দেশের মানুষের মধ্যে অনেকটাই কেটে গেছে।
    গত ১৯ জানুয়ারী মমতার বিগ্রেড এ,২৩ দলের ফেডারেল ফ্রন্টের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে না পারলে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত। তাই শাসক দল বিজেপি সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করে ঠান্ডা ঘরে পাঠানো বাংলার পুরাতন ইস্যু গুলোকে ভোটের মুখে তুলে এনে মমতাকে বিপাকে ফেলতে মরিয়া।