শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার ট্রেনে ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকদের উঠতে রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিতে হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:- শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার ট্রেনের ভিড় নিয়ে কম বেশি প্রায় অনেকেরই অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভিড় ট্রেনে দরজায়ও দাঁড়িয়ে থাকে অনেকেই। ফলে স্কুল টাইমে ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকদের উঠতে রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিতে হয়। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি।বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বামনগাছি এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। নিত্য দিনের এই সমস্যা সমাধানের পথ বের করতে ইতিমধ্যেই দারস্ত হয়েছেন স্টেশন মাস্টারের। ট্রেন অতিরিক্ত এক মিনিট সময় স্টেশনে দাঁড়ানো, স্টেশন উঁচু করা ও ঠিকঠাক করা, শৌচাগার নির্মাণ সহ একাধিক দাবি নিয়ে বামনগাছি স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান তারা। গত ৩০ তারিখ এই স্টেশন চত্বরেই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন এক অভিভাবিকা। তার আগেও ছোটখাটো বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে স্কুল টাইমে যাতায়াতকে কেন্দ্র করে। এরপর থেকেই ক্ষোভ জমতে থাকে যাত্রীদের মধ্যে।অবিলম্বে বিষয়গুলি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সচেষ্ট হন তারা। অভিভাবক সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বামনগাছি স্টেশনে স্কুলের সময় এক মিনিট অতিরিক্ত ট্রেন দাঁড়াতে হবে, তাছাড়া দুই ও তিন নম্বর প্লাটফর্ম গুলিও উঁচু করতে হবে, স্কুলের সময় ট্রেনের গেটের সামনে কোনওভাবেই ভিড় করে বসে থাকা যাবে না।ওই ধরনের যাত্রীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে, এরকম একাধিক দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার স্টেশন মাস্টারের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ারও চেষ্টা করেন অভিভাবকরা। তবে স্টেশন মাস্টার না থাকায় শুক্রবার ফের তারা স্টেশন মাস্টারের ঘরে জমায়েত হন।এরপরও, যদি বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলো না মানা হয়, তাহলে রেলের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে জানানো হবে, পাশাপাশি আন্দোলনেরও হুমকি দেওয়া হয় স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক সহ স্থানীয় নিত্য যাত্রীদের পক্ষ থেকে। পড়ুয়াদের বিপদের যাত্রা থেকে রক্ষা করতে এখন কি পদক্ষেপ নেয় রেল সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।