সুবহানিয়া হাইমাদ্রাসা থেকে অবসর নেওয়ার সময় ঘোষণা আজীবন স্কলারশিপ দিয়ে যাবো।

সংবাদদাতা মালদা : নয়মৌজা সুবহানিয়া হাইমাদ্রাসা থেকে অবসর নেওয়ার সময় ঘোষণা করেছিলেন, কৃতি পড়ুয়াদের মধ্যে স্কালারশিপ চালু করার কথা । সেই মতো তিনি সেটা চালু করলেন স্কালারশিপ এবং শিক্ষক মহম্মদ এজাজুল হক আজীবন এই স্কলারশিপ চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার শিক্ষাবর্ষের কৃতী পড়ুয়াদের মধ্যে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে তাঁর স্কলারশিপের কথা রাখলেন। এবার থেকে টানা চলবে। তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত ও শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক এজাজুল হক। নয়মৌজা সুবহানিয়া হাইমাদ্রাসার অবসারপ্রাপ্ত শিক্ষক। ২০১৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন । বিদায সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি কৃতী পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপ চালু করার কথা ঘোষণা করেন। তাতে ঠিক করা হয়েছিল, হাইমাদ্রাসা ও উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকদের পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকদেরও স্কলারশিপ দেওয়া হবে? সেই মতো ফি-‌বছর ৪ মেধাকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হবে। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে তাদের দেওয়ার ব্যাপারে বলতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এজাজুল হক জানান ,‘‌আমি নিজে বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক। বাংলা ভাষা শুদ্ধ উচ্চারণে সমস্যা ও থাকে কখনো কখনো । পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে তাদের বেছে নেওয়া হয়েছে।’‌ তাঁর বাবা প্রয়াত আব্দুর রহিম শেখের স্মরণে তিনি চালু করলেন ‘‌আব্দুর রহিম মেমোরিয়াল মেরিট কাম স্কলারশিপ’‌।

    মঙ্গলবার হাইমাদ্রাসা ও উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানেই হাজির থেকে নিজের স্কলাকশিপের অর্থ সাহায্য ও মানপত্র তুলে দেন কৃতী পড়ুয়াদের। স্কলারশিপ পেল কাশিরা খাতুন, হাসিবুর শেখ ও নাজিমা খাতুন। নাজিমা উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নাম্বরের পাশাপাশি সে বাংলা সাহিত্যেও সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। সে আড়াই হাজার করে মোট ৫ হাজার টাকা স্কলারশিপ পায় । আমৃত্যু পর্যন্ত শুধু সংস্লিষ্ট মাদ্রাসার কৃতি 4 জনকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে ।