প্রেমের সম্পর্ক না মানায় আত্মহত্যা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

হরিশ্চন্দ্রপুর,৩রা জানুয়ারি, মহ: নাজিম আক্তার: যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক ছেলের পরিবার মেনে না নেয়ায় গলায় ওড়না জড়িয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে জিন্নাত আরা পারভীন(১৮)নামে এক যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ জিপির মানকি বাড়ি গ্রামের ধরমপুর এলাকায়। রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ নিজের শোবার ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে যুবতী বলে জানান তার পরিবার।তার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কিশোরীর পরিবারসহ হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।জানা যায় জিন্নাত আরা পারভীন চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী‌ ছিল।

    যুবতীর মা সুবেদা বিবি অভিযুক্ত ইনজামামুল হক সহ তার বাবা সফিকুল ইসলাম ওরফে দুঃখু ও তার মা লুৎফা বিবির নামে থানায় অভিযোগ করেছে।বেপাত্তা অভিযুক্ত যুবকসহ তার পরিবার।

    ঘটনা চেপে যেতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের এক নেতার বিরুদ্ধে তথা ইনজামামুল হকের বাবা শফিকুল ইসলাম ওরফে দুঃখুর বিরুদ্ধে।

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী দুই পরিবার।এক বছর আগে বছর আঠারোর তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাশের বাড়ির যুবক ইনজামামুল হক(২৭)। কিন্তু, রাজি হচ্ছিলেন না কিশোরী। হার মানেননি ইনজামামুল।রাস্তাঘাটে চলছিল হেনস্থা।শেষ পর্যন্ত মেয়ে বাধ্যতামূলক প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয় বলে জানান। এক বছরের ভালোবাসায় তাদের মধ্যে একটি অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইনজামামুল হক জিন্নতা আরাকে নিয়ে দুইবার বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে চলে যায় বলে জানান।গ্রামে বসে সালিশি সভা। ছেলে বিয়ে করতে চাইলেও তার পরিবার নারাজ। তাই ষড়যন্ত্র করে প্রায় দু’মাস আগে যুবতীর মাকে প্রচণ্ড মারধর করে ও ঘরে আটক করে রাখে বলে অভিযোগ।

    রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ পরিবারের সকলে ঘরের দরজা লাগানো দেখে তার পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করে। দরজা না খুললে দরজা ভেঙে তার লাশ ঝুলে থাকতে দেখে। পরে পুলিশে খবর দিলে রবিবার রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

    কিশোরীর মা সুবেদা বিবির অভিযোগ জিন্নাত আরা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে তার মেয়েকে ইভটিজিং করত। তারপর মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশা করতো বলে অভিযোগ।
    রবিবার ছেলের সঙ্গে তার মেয়ের প্রচন্ড তর্ক হয় বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাই। ছেলের পরিবার তাদের সম্পর্ক মানতে নারাজ ও বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে তার মেয়ে বলে জানান।

    মৃতের পরিবার আরো অভিযোগ করে বলেন,
    ইনজামামুল হকের পরিবারের সাফ কথা একজন দরিদ্র অসহায় পরিবারের মেয়ের সাথে বিয়ে দেবেন না তার ছেলের। আর এই অভিমানে আত্মহত্যার করেছে তার মেয়ে।

    ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ যুবতীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল পাঠায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ।

    আত্মহত্যাটি মূলত কি কারণে ঘটেছে তা আসল সত্যতা জানতে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।