ওটিপি নাম্বার দিতেই লক্ষাধীক টাকা গায়েব, অনলাইন প্রতারণার শিকার এক গ্রাহক

হরিশ্চন্দ্রপুর, ০২ নভেম্বর: অনলাইন শপিং করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে অনেক গ্রাহক৷ এবার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর পর শিকার হলেন মালদার আরো এক গ্রাহক। নাম অরুণ অধিকারী। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর জিপির হাসপাতাল পাড়ায়। আজ তিনি মালদা সাইবার ক্রাইম অফিসে গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, “২৪শেষ অক্টোবরএকটি অনলাইন শপিং সাইট থেকে একটি নামিদামি কোম্পানির মোবাইল হেড ফোন অর্ডার করেছিল।২৬শে অক্টোবর কোম্পানির হেড ফোন বাড়িতে আসে। বাক্স খুলতেই দেখে বেনামী কোম্পানির হেডফোন পাঠানো হয়েছে। সেই হেড ফোন পুনরায় ফেরৎ পাঠান। দুই দিন পর কোম্পানি থেকে ফোন আসে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। গ্রাহকের কাছ থেকে ওটিপি নাম্বার চাই। টাকা ফেরতের আশায় সে ওটিপি নাম্বার দিয়ে দেই। ওটিপি নাম্বার পেতেই কোম্পানি তার ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ টাকা কেটে নেই। ব্যাংক থেকে মেসেজ পেতেই তার চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে ওঠে। কোম্পানিকে ফোন করলে আর পাওয়া যায় না। সে প্রতারণার শিকার হয়েছে।
অরুণ অধিকারী আরো জানান সে একজন দিনমজুর।দীর্ঘদিন ধরে খুব কষ্ট করে তিলে তিলে লক্ষাধিক টাকা জমিয়েছিল ব্যাংকে। অনলাইন শপিংয়ে চলছিল বিশেষ অফার। সেই অফার পেতে সেও এক হেডফোন অর্ডার করে। হেডফোন পেতেই তার কপালে নেমে আসে দুঃখ। মুহূর্তের মধ্যে লক্ষাধিক টাকা গায়েব হয়ে যায়।
শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জীব কুমার দাস জানান এটা একটা সাইবার ক্রাইম। তাকে মালদার সাইবার ক্রাইম অফিসে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। অভিযোগ পেতেই মালদার সাইবারক্রাইমের প্রশাসনিক আধিকারিকরা তদন্তে নেমেছে।