পরিযায়ী পাখির দেখা মেলায় উজ্জীবিত সুন্দরবন পর্যটকরা

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : শীতের সকালে কিম্বা বিকালে পরিযায়ী পাখির দেখা মেলায় উজ্জীবিত সুন্দরবনে আসা পর্যটকেরা। এই মুহুর্তে সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে প্রচুর পরিমাণে রং বেরং এর পরিযায়ী পাখির দেখা-সত্যিই অসাধারণ দৃশ্য। যেমন দেখতে তেমনি তাদের বাহারি চলা চল। বিভিন্ন জায়গায় এক সাথে জলকেলি করছে তারা।এক সাথে এক যায়গা থেকে অন্যত্র যাচ্ছে একসঙ্গে কয়েক শতাধিক পাখি। পর্যটকদের লঞ্চ কিম্বা নৌকা তাদের কাছাকাছি আসতেই পাখির দল অন্যত্র চলে যাচ্ছে একসাথে শতাধিক পাখি। সত্যিই অসাধারণ শীতের মরশুমে এই সমস্ত পাখিগুলি কয়েক হাজার কিলোমিটার দূর থেকে আমাদের এই সুন্দরবনে আসে। আর শীত চলে গেলে আবার তারা ফিরে যায় দূর বহুদূরে, সমুদ্র পাহাড় পর্বত পার হয়ে পুরানো আস্তানায়। নীল জলরাশির মাঝে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দেখা পর্যটকরা আনন্দে আত্মহারা। বিশেষ করে শীতের মরশুমে সুন্দরবন- ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা বেড়াতে আসেন এবং তাদের কাছে সুন্দরবন খুবই উপভোগ করার স্থান। শীতের সকালে নদী সংলগ্ন চড়ে সবুজ ঘাস খেতে এবং সূর্যের আলো গায়ে লাগাতে ঝাকে ঝাকে হরিণ আসে। অনিন্দ্যসুন্দর হরিণদের তাড়া করতে বাঘ কে দেখা মেলে। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার যেমন এই মুহূর্তে দেখা মিলছে। কারণ শান্ত স্নিগ্ধ শীতল জলরাশির নদী খাঁড়িতে যাওয়ার সময়ে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন মেলে। কখনো বা তারা হরিণদের তাড়া করতে দেখা যায় । কখনো কখনো শিকারের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হরিণ এর পিছনে বাঘ সত্যিই সুন্দর মনমুগ্ধকর।একবার আসলে বারেবারে সুন্দরবন আপনাকে হাতছানি দিতে থাকবে। সুন্দরবনে অনিন্দ্য সুন্দর হরিণ,তার পিছনে বাঘ।কোনো কোনো সময় তা পর্যটক এর ক্যামেরাবন্দি হচ্ছে। আর সেই ছবি একবার নিজের চোখে দেখার জন্য ভ্রমণ পিপাসু মানুষরা সুন্দরবনে শীতের সময় আসেন। প্রতিটি মূহূর্ত তারা ক্যামেরা বন্দী করতে সেই ছবি । আবার অনেকেই বাঘ না দেখলেও আবার তারা সুন্দরবনে আসতে চায় ।