ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্ষ না হলে যৌন নির্যাতন নয়, বোম্বে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রায় দিলো সুপ্রিম কোর্ট

নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক : পকসো আইনে সুপ্রিম কোর্টের বড় সিদ্ধান্ত। যৌন অপরাধে ‘‌স্কিন টু স্কিন’ কনট্যাক্ট জরুরী নয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে গত জানুয়ারি মাসে দেওয়া বম্বে হাইকোর্টের রায় খারিজ হয়ে গেল সর্বোচ্চ আদালতে।এক ১২ বছরের শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় বোম্বে হাইকোর্ট ‘স্কিন টু স্কিন টাচ ফর্মুলা’ দিয়ে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছিল। বম্বে হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মহিলা কমিশন মহারাষ্ট্র সরকার সহ একাধিক সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আজ সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে এমন সংকীর্ণ ব্যাখ্যা সমাজের জন্য ক্ষতিকারক. শিশুদের সঙ্গে যৌন অপরাধ মামলায় ‘স্কিন টু স্কিন’ স্পর্শ আবশ্যক নয়।

     

    স্কিন টু স্কিন’ স্পর্শ ছাড়াও ‌পকসো আইন অনুযায়ী শিশুদের যৌনাঙ্গ স্পর্শ করা অপরাধ।যৌন ইচ্ছা নিয়ে শিশুদে যৌনাঙ্গ স্পর্শ করা আইন অনুযায়ী অপরাধ। মামলায় অভিযুক্তকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি উদয় উদিত ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ বলেছে, কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করলে সেটা যৌন নির্যাতনের মধ্যেই পড়ে।

     

    বোম্বে হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। গত জানুয়ারিতে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ রায় দিয়ে বলেছিল, ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্ষ না হলে সেটা যৌন নির্যাতন নয়। আদালতের বিচারপতি পুষ্প গান্ডিওয়ালা রায়ে বলেছিলেন, পোশাক খুললে বা পোশাকের ভেতর দিয়ে আপত্তিজনকভাবে হাত দিলে তবেই সেটা যৌন নির্যাতন। ত্বকের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্ষ না হলে সেটা যৌন নির্যাতন বলা যায়না। বম্বে হাইকোর্টের সেই রায় ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। আদা লতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের মামলা দায়ের হয়। জাতীয় মহিলা কমিশন এবং মহারাষ্ট্র সরকার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। এদিন সেই মামলার রায় ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে,বম্বে হাইকোর্টের রায় এই ধরনের যৌন আচরণকে অসংবেদনশীলভাবে আইনসিদ্ধ করে দিচ্ছিল।