৯ মুসলিম পুলিশকে দাড়ি কাটার নির্দেশ– পরে অবশ্য ডিগবাজি

নতুন গতি প্রতিবেদন: আলোয়ার চাপের মুখে ডিগবাজি। ৯ মুসলিম পুলিশকর্মীকে দাড়ি কাটার নিদান দিলেও প্রবল বিতর্কের জেরে একদিন পরই প্রত্যাহার হয় সেই নির্দেশ। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজস্থানের আলওয়ারে। কেউ কেউ তো প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও। এই প্রথম নয়– এর আগেও মুসলিম পুলিশকর্মীদের এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে।শিখরা দাড়ি রাখলে কোনও দোষ নেই– যত আপত্তি মুসলিমদের বেলায়। ঘটনা হল– গত বৃহস্পতিবার আলওয়ারের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট অনিল পারিস দেশমুখ ৯ জন মুসলিম পুলিশকর্মীকে দাড়ি কেটে ফেলার নির্দেশ দেন। তাদের বক্তব্য– দাড়ি কেটে ফেললে তাদের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে। যদিও দাড়ির সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতার সম্পর্ক কী– স্পষ্ট হয়নি।
এই নির্দেশ জারি হতেই শুরু হয় প্রবল সমালোচনা। যার জেরে শুক্রবারই সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট। দাড়িতে সমস্যা কোথায়– তা স্পষ্ট নয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও দাড়ি রয়েছে। অমিত শাহেরও গাল ভর্তি দাড়ি। কিন্তু তাদের দাড়িতে কোপ পড়েনি। সাধু-সন্তরাও বহাল তবিয়তে লম্বা দাড়ি নিয়ে ঘোরেন। শিখরা দাড়ি রেখে পুলিশ এবং সেনাতে কাজ করেন। কেউ আপত্তি তোলে না। কিন্তু মুসলিমরা দাড়ি রেখে পুলিশে চাকরিতে সমস্যা হয় কেন তার জবাব আজও মেলেনি। বহু পুলিশকে এই দাড়ি রাখা নিয়ে আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে হয়েছে। দাড়ি কাটার নির্দেশ তিনি দিলেন কেন– এর জবাবে জবাবে পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বলেন– সরকারের একটি বিধান রয়েছে যেখানে পুলিশ প্রধান দাড়ি রাখার অনুমতি দিতে পারেন। যার জেরে ৩২ জন পুলিশ সদস্যকে দাড়ি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে পরে ৯ জনের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। কারণ পুলিশকর্মীদের শুধু নিরপেক্ষভাবে কাজ করা যেমন উচিত– তেমনি তাঁদের দেখলে যেন নিরপেক্ষ মনে হয়। তাহলে শিখ পুলিশকর্মীরা কি নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন না তাঁদের তো দেখেই বোঝা যায় তাঁরা শিখ। যদি তাঁদের বেলায় তা অনুমোদিত হতে পারে– তাহলে মুসলিমদের বেলায় তা হবে না কেন এর আগে উচ্চকর্তৃপক্ষের নির্দেশ সত্ত্বেও দাড়ি কাটতে রাজি না হওয়ায় মাকতুম হোসেন নামে এক জওয়ানকে বরখাস্ত করে সেনাবাহিনী। তাঁকে অনাকাঙ্খিত সৈনিক আখ্যা দেওয়া হয়।