|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: 14 ই ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সিআরপিএফ জাওয়ান দের উপরে বর্বর জঙ্গি হামলা হয় সেখানে উঠে আসে জঙ্গি সংগঠনের নাম। তারা এই হামলার দায় স্বীকার করে এর ফলে পাকিস্তানের সরাসরি মদদ থাকার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।কিন্তু পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই দায়ী না নিলেও জইশ-ঈ-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে এর দায় স্বীকার করে নেয়া হয়েছিল। এবং এই সংগঠনের প্রধান কার্যালয় পাকিস্তানেই অবস্থিত কিন্তু তার বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সুতরাং এই ঘটনা পাল্টা প্রত্যাঘাত হবে এটা নিশ্চিত ছিল।
পাকিস্তানের বালাকোটে মঙ্গলবারের বিমান অভিযানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে অন্তত ৩৫০ জঙ্গি নিহত হওয়ার দাবি পাকিস্তান মানেনি। নামী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিও কার্যত সে দাবি স্বীকার করছে না।সংবাদমাধ্যমের স্থানীয় প্রতিনিধিদের কালই বালাকোটে নিয়ে যান পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। ইসলামাবাদ থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের এক দল সাংবাদিককে বুধবার বালাকোটের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুই পশ্চিমি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বালাকোটে যেখানে ভারতীয় বিমান বোমা ফেলেছে, সেখানে সত্যিই জঙ্গি ঘাঁটি ছিল। কিন্তু ২০০৫-এ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পরে বিদেশি ত্রাণ সংস্থাগুলি ওই অঞ্চলে যাতায়াত শুরু করে। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই জঙ্গিরা বালাকোটের এই এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও সরে যায়। সুতরাং ভারতীয় বোমায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম বলে তাদের ধারণা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ‘ভারতীয় বিমান বোমা ফেলার পরে সে দেশে উৎসব পালন করা হচ্ছে। কিন্তু এই হামলায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয় না। কারণ স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই আমাদের এবং অন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছেন, রাতে চার-পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ তাঁরা শুনেছেন। তাতে কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। এক জন সামান্য জখমও হয়েছেন। কিন্তু ফাঁকা মাঠে বোমাগুলি পড়ায় বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’ রয়টার্সের এই প্রতিবেদন লন্ডনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘ডেলি টেলিগ্রাফ’-সহ বেশ কিছু সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে। সকালেই ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছিলেন স্থানীয় যুবক মহম্মদ আজমল। রয়টার্সের প্রতিনিধিকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘বেশ কিছু গাছ পড়ে গিয়েছে। ফাঁকা মাঠে চারটি বড় বড় গর্তের দাগে প্রমাণ, বোমাগুলি ওখানেই পড়েছে।’’