|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: ডব্লিউ বিসিএস সহ পশ্চিমবঙ্গ লোকসেবা আয়োগ কতৃক পরিচালিত বেশ কিছু নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতিসহ একাধিক অসংগতির প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে এসপি মুখার্জি রোডস্থিত পশ্চিমবঙ্গ লোকসেবা আয়োগ অফিসের সামনে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন হাজারো পডুয়া।
ঘড়িতে সকাল দশটা বাজে,বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পরিক্ষার্থীরা জনস্ত্রোতের মত মিছিল করে জড়ো হতে থাকে অফিসের সামনে। মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনি, লাগানো হয় ব্যারিকেড।
” পিএসসি চোর হে, উই ওয়ান্ট জাস্টিস ” শ্লোগানের সাথে বাড়তে থাকে বিক্ষোভ কারির সংখ্যা। পরিস্থিতি গরম হলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। আহত হয় হালিশহর থেকে আসা এক পরিক্ষার্থী রাজু গোলদার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাজির হন খোদ ডিসি সাউথ মিরাজ খালিদ।
প্রথম দফায় পরিক্ষার্থীদের একদল প্রতিনিধি দল চেয়ারম্যান শ্রী ডি.দাশগুপ্তের সাথে দেখা করতে গেলে সরাসরি এড়িয়ে যান তিনি। প্রতিকি প্রতিবাদ হিসেবে পিএসসি অফিসের গেট লক্ষ্য করে খুচরো পয়সা ছুড়ে দেওয়া হয়। টানা আট ঘন্টার প্রতিকুল পরিবেশে রাস্তা আঁকড়ে পড়ে থাকার পর স্লোগানবাজির কাছে হার মেনে চেয়ারম্যান রাজি হন কথা বলার জন্য।
২০১৯ সালের ডব্লিউ বিসিএস মেইন পরীক্ষার এন্সার কি, কাট অফ বের করা, পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাড়ানো,প্রশ্নপত্র সীল থাকা,আরটিয়াই করলে তার তাড়াতাড়ি তথ্য দেওয়া ইত্যাদি বিষয় গুলোর সম্মতি জানিয়েছেন।
আন্দলনকারীদের পক্ষ থেকে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন ” ফায়ার অপারেটর, ফুড এস আই নিয়োগ পরিক্ষার দুর্নীতির কথা চেয়ারম্যান সাহেব স্বীকার করেছেন তদন্ত হলে উপযুক্ত ব্যাবস্থ্যা নেওয়া হবে বলে জানান, তাছাড়া ২০১৭ ডব্লিউবিসিএস গ্রুপ এ আর গ্রুপ বি নিয়ে যে অসংগতির অভিযোগ আগে ছিল তা এখনো আদালতের বিচারাধীন বলে জানান তিনি। তবে ২০১৭ গ্রুপ সি আর ডি এর ক্ষেত্রে আবার উত্তরপত্র খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান। ”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে কৌশিক ভট্টাচার্য নামে একজন ক্লার্ক কে আগেই পিএসসি অফিসের তরফ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ইন্দ্রজিৎ ঘোষের বয়ান অনুসারে ভবিষ্যতে তারা প্র্যয়োজনে রাজ্যপালের পাশাপাশি মহামান্য আদালতের দারস্থ হবেন।