কৌশলী বার্তা শান্তনু ঠাকুরের, তৃণমূল কি গ্রহণ করবে তাকে ? মতুয়া ভোট ব্যাংক নিয়ে বেকায়দায় বিজেপি

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে। তিনি কী করতে চলেছেন? বিজেপিতেই (BJP) থাকছেন ? নাকি তৃণমূলে (TMC) যোগদান করবেন? আজ হুগলির চুঁচু্ড়ায় সুকান্ত নগর ফুটবল মাঠে মতুয়া মহাসংঘের জনসভায় এসে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁর সাংসদ বলেন, আমি CAA-এর পক্ষে। আমি সংসদের নিম্নকক্ষে ভোট দিয়ে CAA পাস করিয়েছি। যারা সমর্থনই করছে না, তারা কী করে আমাকে চাইছে ? একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া উচিত।

    ১৯৭১ সালের পরে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের যাতে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় তার জন্য আমি আন্দোলন করছি। CAA ইমপ্লিমেন্ট একাত্তরের পরে আসা মানুষের পক্ষে যাতে যায়, তার জন্য আন্দোলন করছি। যারা এর সমর্থনই করছে না, সেখানে যাওয়ার প্রশ্ন আসে কী করে? CAA-এর বিরোধিতা যারা করছে, সেখানে আমি থাকি কী করে? আগে তারা বলুক যে তারা CAA সমর্থন করছে, তারপর আমরা দেখছি কী করা যায়। CAA সমর্থন করুক আগে। এপ্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মমতাবালা ঠাকুর আর শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে আমি মধ্যস্থতা করতে পারি।

    পাশাপাশি শান্তনু ঠাকুর আরও বলেন, কেন্দ্র সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন কবে CAA লাগু হবে ? কাদের কারণেই বা লাগু হচ্ছে না? যদি কিছু সংখ্যক মানুষ CAA লাগু করতে না দেয় এবং তার জন্য যদি হিংসা ছড়ায়, তাহলে আমরা এই নমঃশূদ্র সমাজ বাংলায় কম নেই। আমরা ভারত সরকারকে অভয় দিচ্ছি যে অশান্তি হলে তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা এই সমাজের মানুষের আছে। একাত্তর সালের পর যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া মতুয়া মহাসংঘের কর্তব্য।