|
---|
মহম্মদ রিপন,নতুুন গতি: ফিলিস্তিনি কিশোরি আহেদ তামিমর ১৭ বছর বয়সটা পূর্ন হয়েছে জেলের মধ্যে।যে বয়সে কোনো মেয়ের স্কুলের খাতাপত্র থাকার কথা সেই হাতেই এবার বাঁচার রসদ পেয়েছে ফিলিস্তান। ছোটবেলাত থেকেই তামিমি দেখে এসেছে রক্তের রাঙামাটি। কিন্তু আর নই এবার ইজরাইল সেনাদের সামনে রুখে দাঁড়াচ্ছে তামিমি। ফিলিস্তানে অবাধ বিচরন ইসরাইল সেনার, হঠাৎ একদিন তামিমি তার বাবা মায়ের উপর অত্যাচার হতে দেখে বাড়ির প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে থাকা ইসরাইল সেনাদের দিকে এগিয়ে যান তামিমি। কোঁকড়ানো ও সোনালী বর্নের মাথার চুলের তামিমি কিশোরি। সেনাদের কাছে গিয়ে তাদের বাড়ির আঙিনা ছেড়ে যেতে বলেন। কিন্তু দুই সেনা কর্নপাত না করেই দাঁড়িয়ে থাকে।এর পর সেই সাহসী তামিমি দুই সেনাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন।কিন্তু সেনারা তোয়াক্কা না করাই একজন সেনার গালে সজোরে থাপ্পড় বসিয়ে দেন। তারপর মেয়ে হয়েও একাই চড়াও হয় দুই সেনার উপর তাদের উপর কিল,চড়,ঘুসি মারতে থাকেন, সেই ঘটনা কেউ একজন রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেন রাতারাতি তার সাহসিকতার কাহিনী ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। থাপ্পড়ের জবাব দিতে ইসরাইলের সেনারা তামিমি, তার মা ও ২১ বছর বয়সী চাচাতো বোন নুর নাজিকে গ্রেপ্তার করে। ১৬ বছর বয়সী তামিমি আল আহেদ এর বিচারে আট মাসের জেল ও ১৪০০ ডলার জরিমানা করেছিল ইসরাইলের আদালত। বিচারকক্ষে ইসরাইলি উকিল লাস্কি জানান – ফিলিস্তিনিদের নারীদের সজাগ না হতে দিতেই এই সিদ্ধান্ত। পরে ১৬ বছর বয়সি আহেদ ভেঙে পড়েননি জেলের মধ্যেই পড়াশুনা চালিয়ে গেছেন।জেলের মধ্যে আটক সাড়ে ছয় হাজারের বেশী ফিলিস্তানি, যাদের মধ্যে তিনশোর বেশী। বিচারের সময় কাটগড়ার দাঁড়িয়ে সাহসী তামিমি বলেছিলেন – আমি হানাদার সেনাদের চড়িয়েছি,লাথি দিয়েছি। অবৈধ দখলদারদের অধীনে কোনো ন্যায়বিচার হতে পারেনা।একটা অবৈধ আদালতে আমার বিচার চলছে। পরে রাতারাতি নায়ক হয়ে উঠা আহেদ আল তামিমিকে চাপে পড়ে আটমাসের আগেই মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। সারাবিশ্বে জুড়ে চলছে তামিমির জয়গান এবার সেই ১৭ বছর বয়সী তামিমির হাতে স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ তুলে দিলেন পুরস্কার। তামিমির কথায় – সারাবিশ্বকে বাসযোগ্য করে তুলব দখলদার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে।
তথ্য সৌজন্যে – আলজাজিরা