|
---|
লুতুব আলি : টি বি রোগ দূর করতে মেমারির স্কুলে সচেতনতা শিবির। ২০২৫ সালের মধ্যে টি বি মুক্ত বাংলা গড়ে তুলতে পূর্ব বর্ধমান জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি ধারাবাহিক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। ৭ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কলা নবগ্রাম সার্কেলের মহেশপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এক মনোজ্ঞ সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হলো পরিচালনায় পাল্লারোড সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। চিকিৎসকদের অভিমত করোনা প্রকোপ চলায় টি বি রোগীর প্রতি নজর না দেওয়ায় এই রোগ বৃদ্ধি পায়। জানা গেছে, টি বি রোগে আক্রান্ত হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, পাল্লারোড সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কমিউনিটি হেলথ অফিসার মামনি দাস এর নেতৃত্বে এদিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা সচেতনতায় অংশ নেয়। মামনি দাস জানান, অপুষ্টি, অপরিচ্ছন্ন থেকে এই রোগ বৃদ্ধি পায়। দূরত্ব বিধি বজায় রাখলে করোনা তো বটে টিবির মত ছোঁয়াচে রোগের হাত থেকে রেহাই মিলতে পারে। এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন প্রান্তের স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি থেকে টিবির হাট থেকে মুক্ত হতে একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এদিন মহেশপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতা শিবির এর শেষে প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপর অংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় প্রথম স্থান পায় সারতাজ আলম, দ্বিতীয় শেখ শাহিদ মন্ডল এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে মোহাম্মদ হাবিব। এদিনের এই সচেতনতা শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাল্লা ৩নং ক্যাম্প সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কমিউনিটি হেলথ অফিসার নীলিমা বিশ্বাস, কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট নমিতা রায়, শিক্ষক সিতান্ত মন্ডল, তরুণ ঘোষ, মনি মোহন মুখার্জি, সমর মন্ডল, সৌমেন সিং ও আশা কর্মী ফতেমা বেগম মল্লিকপ্রমুখ।