হুগলির চন্দননগরের তেলিনীপাড়ায় রাজ্য পুলিশের বড় সাফল্যঃ

মোহাম্মদ জিম নওয়াজ,সোশল অ্যাক্টিভিস্ট: গতকাল চন্দননগর কমিশনারেট এর সিপি হুমায়ুন কবীর এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেট এর জয়েন্ট সিপি অজয় ঠাকুরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী তেলিনীপাড়ার ভিক্টোরিয়া জুটমিলের ভিতর তল্লাশি চালিয়ে অর্জুন সিং এর পোষ্য ৪০ জনের বেশি সশস্ত্র দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছেন। দুষ্কৃতির মধ্যে অনেকেই বহিরাগত রয়েছে যারা কাঁকিনাড়ার দিক থেকে ১০ তারিখ ভোরবেলা নৌকা করে নদী পার হয়ে ফেরিঘাট দিয়ে তেলিনীপাড়ার ভিক্টোরিয়া জুটমিলে আস্তানা গেড়েছিল। অর্জুন সিং এর নির্দেশে দুষ্কৃতিরা ১০ এবং ১১ তারিখে তেলিনীপাড়ায় ব্যাপক বোমাবাজি ও গোলাগুলি চালায়।

    ১০ তারিখ এবং তার পরবর্তীতে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও লকেট চ্যাটার্জি রচিত ষড়যন্ত্রের ফলে চন্দননগরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। চলে গোলাগুলি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুই সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘর, সম্পত্তি।

    সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা দমনে রাজ্য প্রশাসনের তরফে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের জয়েন্ট সিপি অজয় ঠাকুরকে অন্যতম দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া এলাকায় অর্জুন সিং এর নেতৃত্বে চলা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কঠোর হাতে দমন করেন আইপিএস অজয় ঠাকুর। তেলিনীপাড়ার দাঙ্গা দমনের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের সাথেসাথেই তিনি ব্যাপক তল্লাশি চালাতে শুরু করেছেন। অর্জুন সিং এর গুন্ডাবাহিনী গঙ্গা পেরিয়ে যাতে চন্দননগরে ঢুকতে না পারে, সেজন্য জল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নদীর ধারে পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন বিশাল সংখ্যক পুলিশ।

    রাজ্য পুলিশের সদার্থক প্রচেষ্টা এবং ভিক্টোরিয়া জুটমিল থেকে অর্জুন সিং এর পাঠানো ৪০ জন দুষ্কৃতি গ্রেপ্তারের পরে তেলিনীপাড়াতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এলাকা এখন পুরোপুরি শান্ত।

    ১০ তারিখ ভোরবেলা কাঁকিনাড়ার দিক থেকে নৌকা করে নদী পার হয়ে ফেরিঘাট দিয়ে অর্জুন সিং এর পোষ্য দুষ্কৃতিদের তেলিনীপাড়ায় প্রবেশের ছোট্ট ভিডিও ক্লিপটি রইল।