বোমা উদ্ধার হল খয়রাশোল ব্লকের অন্তর্গত লোকপুর থানার বারাবনের জঙ্গল থেকে

নিজস্ব সংবাদদাতা :বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গত কয়েকদিনে একাধিকবার বোমা উদ্ধারের খবর এসেছে। মঙ্গলবার সকালেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার বোমা উদ্ধার হল খয়রাশোল ব্লকের অন্তর্গত লোকপুর থানার বারাবনের জঙ্গল থেকে। প্রায় ৩০টির মত তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে এদিন।লোকপুরের জঙ্গলে মিলল বোমা

    বীরভূমের বিভিন্ন থানা এলাকায় একের পর এক জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে অবৈধভাবে মজুত রাখা বোমা। মঙ্গলবার ভোররাতে একইভাবে এক জ্যারিকেন বোমা উদ্ধার হল খয়রাশোল ব্লকের অন্তর্গত লোকপুর থানার বারাবন জঙ্গল থেকে। লোকপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে এই বোমাগুলি উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৩০ থেকে ৩২টি বোম রয়েছে। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য সিআইডি বোম ডিসপোজেবল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এই বোমা মজুত করেছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লোকপুর থানার পুলিশ।

    কার্যত বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে বীরভূম

    গত মাসের ২১ তারিখ বীরভূমের রামপুরহাট থানারঅন্তর্গত বগটুই গ্রামে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। যে মর্মান্তিক ঘটনায় বোমার আঘাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ , অন্যদিকে সেই রাতেই প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে প্রাণ গিয়েছিলেন আরও নয় জন। মৃত এই নয় জনের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। এই ঘটনার পরেই বগটুইতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে নির্দেশ দেন, অবৈধভাবে যত বোমা অথবা অস্ত্রশস্ত্র মজুত রয়েছে তা উদ্ধার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রীর থেকে এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে বীরভূম জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানা। একের পর এক জায়গা থেকে উদ্ধার হতে শুরু করে বোমা বারুদ। মাড়গ্রাম, দুবরাজপুর, লাভপুর, মল্লারপুর থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়েছে এই কদিনে। শুধু বোমাই নয়, উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির মশলাও। এই মধ্যে সম্প্রতি বগটুই গ্রামেও রঙের ড্রামে ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। বোমাগুলোকে নিষ্ক্রিয় করেছে বম্ব স্কোয়াড। রামপুরহাট কাণ্ডে অভিযুক্ত পলাতক পলাশ শেখের বাড়ি লাগোয়া স্থান থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।