মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার আটকাতে গিয়ে বিএসএফ দুষ্কৃতীদের মধ্যে সংঘর্ষ ।

মালদা, ০৭  আগস্ট । মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার আটকাতে গিয়ে বিএসএফ দুষ্কৃতীদের মধ্যে সংঘর্ষ । ইঁট , পাথর ছুঁড়ে বিএসএফকে হামলা দুষ্কৃতীদের । পাল্টা বিএসএফের গুলিতে এক গোরু পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩০০ টি গোরু । মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানার সুদেবপুর সীমান্ত এলাকায়। মৃত ওই গোরু পাচারকারীর দেহ উদ্ধারের পর বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিএসএফের পক্ষ থেকে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রফিকুল সেখ (২২)। তার বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার কুম্ভিরা গ্রামে। ধৃত দুই জনের নাম শফিকুল শেখ ও সিন্টু সেখ । এদের বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার মোহনপুর গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বিএসএফের পক্ষ থেকে ধৃত দুই গোরু পাচারকারীকে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে,  মঙ্গলবার গভীর রাতে বেশ কিছু দুষ্কৃতী সবদলপুর এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচার করছিল। ওই এলাকাটি গঙ্গা নদী সংলগ্ন। সেই সময় সীমান্তের প্রহরারত ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জাওয়ানেরা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে বাধা দেয়। তখন পাল্টা পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর  ছুঁড়তে থাকে। এই ঘটনায় পাল্টা গুলি চালালে এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই পাচারকারীর। বাংলাদেশের গরু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দুই পাচারকারীকে।

    এদিকে এই ঘটনার পর বিএসএফের পক্ষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০০ টি গোরু।

    উল্লেখ্য, ভরা বর্ষার সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই মালদার বৈষ্ণবনগর থানার শোভাপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলার নিমতিতা এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা নদীকে করিডোর করে বাংলাদেশে গোরু পাচার করছে পাচারকারীরা। ইতিমধ্যেই বিএসএফ টহলদারির সময় প্রচুর গোরু আটক করেছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

    বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক রবিরঞ্জন এক প্রেস বিব্রিতিতে জানিয়েছেন ,মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।  দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন,  পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।