|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বভারতীর ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে গত কয়েকদিনে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ক্যাম্পাস। এবার সেই আঁচ এসে পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব ঘরে তালা মেরে রেখেছে। এই নিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। একইসঙ্গে পুলিশসুপারকে ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির থাকতেও বলা হয়েছে। মূলত বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা কাটানোর বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই আগের শুনানিতে উঠে আসে পড়ুয়াদের অভিযোগ। পড়ুয়ারা দাবি করেন, ঘরে তালা দিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার ফের ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষে তালা দিয়ে রেখে পঠনপাঠনে কোনওরকম অন্তরায় সৃষ্টি করছে কি না, যদি তালা দেওয়া হয় তা হলে তা কেন দেওয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে বীরভূমের পুলিশসুপারকে।
মামলা চলাকালীন মামলাকারীর আইনজীবীদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, জেলাপুলিশ সব দেখেও চুপ রয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তারা। পাশাপাশি ছাত্রদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সমস্ত জায়গায় তালা মেরে রেখে দিয়েছে। ছাত্ররা আদালতের নির্দেশ মেনে আইন মোতাবেক এবং পুলিশকে জানিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে আন্দোলন করছে।মামলাটি আদালতে দায়ের হওয়ার পর প্রথম শুনানিতে আদালত জানিয়েছিল আন্দোলন করা যেতেই পারে। কারণ আন্দোলন করার অধিকার গণতান্ত্রিক দেশে সকলেরই রয়েছে। তবে তা শান্তিপূর্ণ পথে করতে হবে এবং এর জন্য কোনওভাবেই পঠনপাঠনের যেন ক্ষতি না হয় তাও দেখতে হবে। একইসঙ্গে পড়ুয়াদের দাবিগুলিও ১০ দিনের মধ্যে হলফনামার আকারে জমা দিতে বলেছিল আদালত। একইসঙ্গে বিশ্বভারতীর কাজকর্মে যাতে কোনওরকম বিঘ্ন সৃষ্টি না করে, কোনও আধিকারিকর পথ যাতে অবরুদ্ধ না হয় সে কথাও বলা হয়েছিল। সোমবার শুনানি চলাকালীন কিছুটা বিরক্ত হন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কারণ, পড়ুয়াদের দাবি, ঘরে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এরকম ঘটে থাকলে তা পঠনপাঠনের অন্তরায়। তাই বীরভূমের পুলিশসুপারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।