পাড়ার মোড়ে বসা আড্ডাবাজ ছেলেরা, অভাবীদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে খাদ্য সামগ্রী

পাড়ার মোড়ে বসা আড্ডাবাজ ছেলেরা, অভাবীদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে খাদ্য সামগ্রী

    নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিশ্বজুড়ে মহামারীর রুপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। করোনা মহামারীর ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। গোটা দেশজুড়ে ঘোষিত হয়েছে লকডাউন। লকডাউনের মাঝে ত্রান-সাহায্য নিয়ে গরিবদুঃখীদের ঘরে ছুটে যাচ্ছে নদীয়া জেলার শান্তিপুরের সংবাদকর্মী শাহনাওয়াজ আলী সহ পাড়ার মোড়ে বসে থাকা একঝাঁক আড্ডাবাজ যুবক।

    চীন থেকে শুরু হয়েছিল করোনার প্রকোপ। চীন থেকে শুরু হলেও কয়েকমাসে মহামারীর আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও করোনা ভাইরাসের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ২৪ মার্চ থেকে গোটা ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। লকডাউনের মাঝে গৃহবন্দী গোটা দেশের মানুষ। এই অবস্থায় গরীব-মধ্যবিত্তদের মধ্যে দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট। নদীয়া জেলার শান্তিপুর বেড়পাড়া এলাকায় কেউ না খাদ্য সঙ্কটের মধ্যে পড়ে, তেমনই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সংবাদকর্মী শাহ নাওয়াজ সহ শরিফুল, সঞ্জয়, কাওসার, কজল, রাহুল’রা। প্রচেষ্টায় বিশেষ সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে মোহর দে বিশ্বাস, শেখ সারজু, বুল্টি হক, সামিদুল গাইন, আমিরুল ইসলাম, তাহিরুল ইসলাম, সাবনাম মুসতারি নামের যুবক-যুবতীরা। এছাড়াও শান্তিপুর নবজাগরণ নামের সামাজিক সংগঠনও এই যাত্রায় এগিয়ে এসেছে। দিন-রাত তারা এলাকার খোঁজ খবর নিয়ে ত্রান-সাহায্য নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে বাড়ি-বাড়ি।

    তারা জানিয়েছে যে, এখনো পর্যন্ত ত্রান-সাহায্য এলাকার ১০০ টির বেশি বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে তারা। এছাড়াও এই চরম সঙ্কটের মাঝে ভুলে যায়নি কবি পীর মহম্মদের কথা। কবি পীর মহম্মদ হলেন একজন প্রতিবন্ধী মানুষ। প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে তিনি দশ হাজারেরও বেশি কবিতা লিখেছেন। সেই প্রতিবন্ধী কবি পীর মহম্মদের বাড়িতেও ত্রান-সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন তারা।

    উল্লেখ্য, বর্তমানে করোনাভাইরাস ভয়ংকরী হয়ে উঠেছে। এখনো পর্যন্ত গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৯ লাখের মত এবং মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি ও মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।