বিজেপী এবং সিপিএম কে হুশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন কোনভাবেই বনধ্ করা যাবে না

নিজস্ব সংবাদদাতা :বিজেপী এবং সিপিএম কে হুশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন কোনভাবেই বনধ্ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন কেউ যদি রাস্তায় বসে পড়েন তবে সরকার কোনভাবেই তা মেনে নেবে না।কারন আগামী 23 ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক তাই কোনভাবেই বনধ্ এবং অবরোধ মানবে না সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না।এটা হুশিয়ারি দিয়ে দেওয়া হল।আর বঙ্গভঙ্গের নাম করে উত্তরবঙ্গকে ভাগ করতে উঠেপড়ে লেগেছে কিছু দল আর সরকার তা মানবে না। কারন অরাজকতা আমি পছন্দ করি না জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি জানালেন বিজেপী পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে দুভাগ করে দেবার চেষ্টা করছে আর তৃণমূল সেটা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখবে সেটা তৃণমূল মেনে নেবে না। কোচবিহার থেকে যে উড়ান চালু করেছে বিজেপী যেটা বলে বিজেপী সাংসদ লাফিয়ে লাফিয়ে বলছেন সেটাও তৃণমূলের তৈরী করা। পশ্চিমবঙ্গের মাটিত তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের ইতিহাস অনেক চওড়া তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে কোনদিনই ছোট করা যাবে না।এদিন মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মানুষের হাতে তুলে দেন তার তৈরী করা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা।এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান তিনি যে যে কথা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে সেই সব কথা তিনি রেখেছেন।তার কারন তিনি তার কথা রাখতে জানেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান তিনি কোন সরকারি কর্মচারীকে হতাশ করেন নি,তিনি জানেন কথা দিয়ে কথা রাখতে। এত বয়ষ্ক মানুষ পেনশন পান তাদের পেনশন আমি বন্ধ করতে দিই নি। যে যেটা পাবে যার যেটা প্রাপ্য সেটা তিনি দিতে চেষ্টা করেন দিতে। মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান কাউকে উঠিয়ে দেওয়া যাবেনা। কারন সবাই মানুষ অনেক কষ্ট করে তারা বসবাস করছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের বেশ কিছু মানুষের হাতে জমির পাটটা তুলে দেন। পাহাড় থেকে সমতল এদিন সবার হাতেই প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেন।এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান তিনি শিলিগুড়িকে ভালোবাসেন এবং পাহাড়কেও ভালবাসেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের কন্যাশ্রী বলে সম্বোধন করে জানান তোমরা গর্ব করে বলো তোমরা কন্যাশ্রী। তাদের ভালোকরে পড়াশোনা করতে বলেন এবং বাবা মা এবং শিক্ষককে ভালোবাসতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত কেউ কিছু চাইবেন না।তাই আমরা চাই ছেলেমেয়েরা বাংলার আগামীদিনের ভবিষ্যত।তাই বড়ো হও মানুষের মত মানুষ হও। আমি মনে করি সবার সবাইকে সাহায্য করা দরকার।তাই আমাদের লক্ষ কেউ যাতে কষ্ট না পায়।তাই আমি মনে করি যারা যোগ্য তারাই সবকিছু নিক। মানুষের জীবনে সবচাইতে মুল্যবান হল চোখ তাই চোখের আলো প্রকল্পের যোগ্য যারা তাদের হাতে চোখের আলো তুলে দিতে হবে। ভাষা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী এদিন মানুষকে লড়াই করতে বলেন।লড়াই করতে হবে তবেই আমরা মানুষের মত মানুষ হতে পারবো।সফলতা আসবেই তবে লড়াই করতে হবে। আমি নিজে লড়াই করেছি তাই আপনারাও লড়াই করুন।এদিন মুখ্যমন্ত্রী ভাষা দিবসের দিনে তুরষ্কে ভুমিকম্পে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করলেন। এদিন মঞ্চে উপস্থিত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে জানান সবাই ভালো থাকুন এবং সবাইকে ভালো রাখুন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে ভাষা দিবসের দিনে জাতীয় সঙ্গিত করতে অনুরোধ করেন।