থাকবে না মুসলিম পার্সোনাল “ল” এক দেশ এক আইনের বার্তা দিলো দিল্লী হাইকোর্ট

নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক: দেশের বিচার ব্যবস্থা দিনের পর দিন যেনো একন্যায়তন্ত্রে পরিবর্তন হয়ে চলেছে। বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির বিতর্কের দীর্ঘদিনের মামলা নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট এক তরফা রায় দিলেও আদালতকে সম্মান দিয়েছে ভারতেই প্রতিটি সংখ্যালঘু মুসলিম। এরপর মুসলিম পার্সোনাল ল’ তথা মুসলিমদের বিবাহ, ফারায়েজ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মুসলিমরা নিজেদের ধর্ম অনুযায়ী ভারতের যে সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করে থাকে। তা আটকাতে এবার আদালতকেই হাতিয়ার করা হলো। বিজেপির ঘোষিত নীতি ছিল দেশে অভিন্ন দেওয়ানি চালু করা। তা এবার বাস্তবায়নে ত্রাতা হয়ে দাড়ালো দিল্লি হাই কোর্ট।

     

    শাহ বানো মামলার প্রসঙ্গ টেনে আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় ভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয় তা কাম্য নয়। দেশের নবপ্রজন্মকে এসব সমস্যার মুখে ঠেলে দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। জুলাই মাসের ৭ তারিখ দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি প্রতিভা এম সিং একটি আদেশনামায় স্পষ্ট লেখেন, “দেশে ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতপাতের ভেদাভেদ ক্রমশ মুছে যাচ্ছে। ফলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি শুধুমাত্র একটি আশার আলো হয়ে থাকার কথা নয়। ভিন ধর্মে বিয়ে ও বিচ্ছেদের জন্য ভিন্ন আইনের জটে যুব প্রজন্মকে জেরবার করার প্রয়োজন নেই।”

     

    তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োজন কেন রয়েছে, সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক মামলা উদ্ধৃত করে দিল্লি হাই কোর্ট। বিশেষ করে ঐতিহাসিক শাহ বানো মামলার প্রসঙ্গ টেনে আদালত বলে, “সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৪-এর মতে নাগরিকদের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাই বিষয়টি শুধুমাত্র স্বপ্ন হয়ে থাকা উচিত নয়।” পাশাপাশি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির সপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের যুক্তির কথাও তুলে ধরে আদালত। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয় বলে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছে কোর্ট। একইসঙ্গে, আইনমন্ত্রকে এই বিষয়ে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি প্রতিভা সিং। যার অর্থ কেন্দ্র তথা বিজেপি সরকারের অভিন্ন দেওয়ানির রাস্তা পরিষ্কার স্ব দিলো দিল্লি হাইকোর্ট।